লকডাউনে দুর্ভোগের শেষ নেই। ত্রাণ নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। এ রাজ্যের শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের 'চাল চোর' বলে আক্রমণ শানালেন বিজেপি নেত্রী, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, 'অন্য রাজ্যের মতো বাংলায়ও কেন্দ্রীয় চাল এসেছে। সেই চালগুলিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা-মন্ত্রীরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন। রাজ্যের চাল পোকায় ভরা। সেই চালকে কেন্দ্রীয় চাল বলা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: লকডাউনে রেশন দুর্নীতি, বাড়িতেই মৌন প্রতিবাদ বঙ্গ বিজেপির
করোনা নিয়ে তথ্য গোপন, পরিবারের অগোচরে মৃতদেহ দাহ করার মতো অভিযোগ তো ছিলই। লকডাউনের বাজারে এবার রেশনে দুর্নীতির ইস্যুতে হাতিয়ার করে সরকারকে কাঠগড়ায় তুলল বিজেপি। তবে বামেদের মতো পথে নেমে নয়, বরং করোনা বিধি মেনে বাড়িতেই প্রতীকী মৌন প্রতিবাদ অবস্থান করলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায়, সায়ন্তন বসু, লকেট চট্টোপাধ্যায়রা। এই কর্মসূচি অংশ নেন বিভিন্ন জেলার প্রায় দশ লক্ষের বেশি বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। অবস্থান চলে ঘণ্টা দুয়েক।
হুগলিতে নিজের বাড়িতে মাস্ক পরে দলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে বসেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বাংলায় করোনা বিরুদ্ধে যুদ্ধ চলছে না, ভোটের রাজনীতি চলছে। মুখ্যমন্ত্রীর কাজকর্ম দেখে মনে হচ্ছে, একটা ভোট চলে এসেছে। বিজেপি সাংসদের ত্রাণ বিলিতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। আবাসনে কোয়ারেন্টাইন স্টিকার লাগিয়ে মন্ত্রীকে আটকে রাখা হচ্ছে।'
আরও পড়ুন: রাজ্য়ে ৬০০ ছাড়াল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, বলছে কেন্দ্রের রিপোর্ট
আরও পড়ুন: লকডাউনে বদলেছে পেশা, আদালতের মুহুরি বনে গিয়েছেন মাস্ক বিক্রেতা
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে রেশনে দুর্নীতি-সহ একাধিক অভিযোগে কেন্দ্র ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে লকডাউন ভেঙে রাস্তায় নামে বামেরা। রেড রোডে বিক্ষোভে দেখাতে গিয়ে গ্রেফতার হন সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, সুজন চক্রবর্তীর মতো সিপিএমের প্রথমসারির নেতারা। পুলিশের বিরুদ্ধে সামাজিক দূরত্ব না মানা ও অতি সক্রিয়তার অভিযোগ তোলেন বিক্ষোভকারীরা।