বন্ধ লোকাল ট্রেন। আগুন দাম পেট্রোল ডিজেলের। যার সরাসরি প্রভাব পড়েছে বাজারে। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে হাবুডুবু সবজি বাজার। পালায় দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ টাকা। হেঁশেলে টান মধ্যবিত্তের।
চলতি সপ্তাহে বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যের করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ রুখতে বন্ধ করা হয়েছে লোকাল ট্রেন। যার সব থেকে বড় প্রভাব পড়েছে গোটা রাজ্যের সবজি ব্যবসায়।
হাওড়া পাইকারি সবজি বাজারে আসেন হাওড়া, হুগলি, বর্ধমান, উত্তর ২৪ পরগনা সহ বিভিন্ন জেলার চাষিরা। তাঁরা লোকাল ট্রেনের ভেন্ডার কামরায় কাঁচা সব্জি যেমন পটল, বেগুন, ঝিঙে, কাঁচা লঙ্কা, লাউ, ফুলকপি, বাঁধাকপি সহ একাধিক সবজি নিয়ে আসেন হাওড়া পাইকারি বাজারে। কিন্তু এখন করোনা সংক্রমণের জেরে বন্ধ করা হয়েছে লোকাল ট্রেন। ফলে রীতিমত পেটে টান পড়েছে তাঁদের।
লোকাল ট্রেন বন্ধ করে দেওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন এই চাষিরা । তারা ছোট ছোট লরি অথবা ম্যাটাডোরে করে সবজি নিয়ে আসছেন বাজারে। ফলে পরিবহন খরচ বেড়ে গেছে কয়েক গুণ। এদিকে ডিজেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় লরিতে করে সবজি বাজারে আনতে খরচ অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে । বাধ্য হয়ে চাষীরা কাঁচা আনাজের দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। হাওড়া সবজি বাজারে প্রতি সবজির দাম গড়ে বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা ।
ফলে খুচরো বাজারে বিক্রেতারা দাম আরও বাড়িয়ে বিক্রি করছেন। তারা জানাচ্ছেন ট্রেন বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাদের ছোট ছোট গাড়িতে সবজি আনতে হচ্ছে। যার কারণে সবজি আনার খরচ বেড়ে গিয়েছে। তাছাড়া ট্রেন বন্ধ থাকায় চাহিদার তুলনায় যোগান কম রয়েছে হাওড়ার পাইকারি বাজারে। ফলে চড়া দামে তাদেরকে কিনতে হচ্ছে পাইকারি বাজার থেকে। আর খোলাবাজারে বিক্রি করতে গেলে ঝামেলা করছেন ক্রেতারা। ফলে সমস্যা শুরু হয়েছে আনাজ ব্যবসায়। পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয় এখন সেদিকেই তাকিয়ে বসে রয়েছেন সকলে ।
এদিকে, পর পর চার দিন চার লক্ষের মাত্রা ছাড়াল করোনা সংক্রমণ। ঝড়ের বেগে ছড়িয়ে পড়ছে মারণ ভাইরাস। যা সামাল দিতে মরিয়া দেশের বিভিন্ন মহল। বাইরে থেকে সাহায্যও মিলছে, তবে কোথাও গিয়ে যেন সংক্রমণের হার কোনও মতেই বাগে আনা সম্ভবপর হচ্ছে না। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। শনিবার দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ লক্ষ ৩ হাজার ৭৩৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৯২ জনের।