নন্দীগ্রামে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দল। ভোট পরবর্তী হিংসা ও গন্ডগোলের কারণ খতিয়ে দেখতে শনিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে কপ্টারে পৌঁছান কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এর একটি দল। ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব গোবিন্দ মোহন। এর পরে প্রতিনিধি দলটি নন্দীগ্রামর বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ান এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথাও বলেন।
নন্দীগ্রামে ভোটের আগে, ভোটের সময় এবং ভোটের পরেও হিংসা এবং গোন্ডগোল অব্যাহত রয়েছে। সেই কারনেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নন্দীগ্রামে আসেন।নন্দীগ্রামবাসি বিবেকানন্দ সাউ কাঁদতে কাঁদতে বলেন,' আমরা খুব আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি, আপনারা চলে গেলে ওদের সন্ত্রাসের ভয়ে আমরা থাকতে পারব না। কোথায় যাব পরিবার নিয়ে, ভয়ে ভয়ে দিন কাটাচ্ছি। বাসিন্দা প্রতিমা সাউ বলেন আমাদের সবকিছু লুট করে নিয়ে চলে গিয়েছে, চালের বস্তা তুলে নিয়ে চলে গিয়েছে ঘরে ঢুকে সবকিছু ভাঙচুর করেছে, কয়েকজন দুষ্কৃতী আচমকাই আমাদের ওপর হামলা করে বলে তোমরা সব বিজেপি করো, বলার পরই ঘরে ঢুকে মারধর করে ভাঙচুর চালায়, আমি কখনও রাজনীতি করিনি, মিটিং মিছিলেও যাই না, তবু আমরাও বিপদে।'
আরও পড়ুন, ' ফলপ্রকাশের পরেই বাংলার নারীদের উপর চরম অত্যাচার', রাজ্যপালকে চিঠি BJP মহিলা মোর্চার
কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের কাছে হাউহাউ করে কাঁদতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের মানুষকে। কারণ ভোট পরবর্তী হিংসার প্রভাব, বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী জয় পেয়েছে, মমতা ব্যানার্জীকে হারিয়ে, তবু সেই মমতাই আবার মুখ্যমন্ত্রী, তাই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা নন্দীগ্রামের মানুষের ওপর নির্মম অত্যাচার চালায়। যে কারনে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল নন্দীগ্রামে সন্ত্রাস কবলিত এলাকা পর্যবেক্ষণ করে মানুষের সঙ্গে কথা বলে গেলেন। পাশপাশি ভোট গণনার পরের দিনই শুভেন্দু অধিকারীর নির্বাচনী কার্য্যালয় ভাংচুর ও আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । সেই কার্যালয় ঘুরে দেখলেন কেন্দ্রীয় দল।