Tanumoy Ghoshal | Published : Apr 16, 2020 11:29 AM IST / Updated: Apr 16 2020, 05:00 PM IST
আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। করোনা সতর্কতায় প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করে এবার বিপাকে পড়লেন খোদ বাঁকুড়ার বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। তিনি আবার পেশায় চিকিৎসক। সাংসদের বিরুদ্ধে বাঁকুড়া সদর থানায় এফআইআর করেছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।
ঘটনার সূত্রপাত ১২ এপ্রিল। সেদিন জ্বরের উপসর্গ নিয়ে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন দু'জন। হাসপাতালে ফিভার ওয়ার্ডে রাখা হয় তাঁদের। করোনায় আক্রান্ত হননি তো? দু'জনেরই লালারস বা সোয়াব পরীক্ষার জন্য পাঠান চিকিৎসকরা। তখনও রিপোর্ট আসেনি, রাতেই মারা যান ওই দু'জন। জানা গিয়েছে, সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়নি। বাঁকুড়া শহরের লখ্যাতড়া শ্মশানে সৎকারের ব্যবস্থা করে প্রশাসনই। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কারণ, পরের যখন রিপোর্ট আসে, তখন জানা যায়, মৃতদের কেউই করোনায় আক্রান্ত ছিলেন না!
এই ঘটনার প্রশাসনের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন বাঁকুড়া বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার। নিজের ফেসবুকে প্রোফাইলে একটি ভিডিও পোষ্ট করে তিনি বলেন, 'বাঁকুড়ার মেডিক্যাল কলেজে মারা যাওয়া দু'জনের মৃতদেহ বাড়ির লোক না দিয়ে রাতেই প্রশাসন সৎকার করে দিল। অথচ তাঁদের লালারসের রিপোর্ট আসেনি। এত তাড়াহুড়ো করার তো কোনও প্রয়োজন ছিল না? বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার মানুষ এই খবর শুনে বিভ্রান্তিতে রয়েছে।' সাংসদের বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগে এফআইআর করেছেন স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা।
কী বলছেন অভিযুক্ত বিজেপি সাংসদ? বাঁকুড়া জেলার স্বনামধন্য চিকিৎসক সুভাষ সরকারের দাবি, বিভ্রান্তি ছড়ানোর নয়, সঙ্গত কারণেই প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। আইন আইনের পথেই চলবে। এর আগে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে করোনা নিয়ে আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছিল বাঁকুড়ারই বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ-এর বিরুদ্ধে। দায়ের করা হয় এফআইআরও।