প্রাকৃতিক দুর্যোগের জন্য সরকারি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে ডুবে গেল একটি ট্রলার। এদিন ভোর রাতে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বকখালি থেকে আরও গভীরে বঙ্গোপসাগরে। ডুবন্ত ট্রলার থেকে ১২ জন মৎস্যজীবীকে উদ্ধার করে অন্য ট্রলারের মৎস্যজীবীরা।
আরও পড়ুন, আগামী ২- ৩ ঘন্টার মধ্য়ে বজ্রবিদ্যুৎ সহ প্রবল বর্ষণ, ভাসতে চলেছে বাংলার এই জেলাগুলি
এফ বি তারা মা নামে ওই ট্রলারটি নামখানার থেকে বৃহস্পতিবার বিকেলে পাড়ি দিয়েছিল। সমুদ্র উত্তাল থাকায় সরকারিভাবে গভীর সমুদ্রে যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল মৎস্য দপ্তর। কিন্তু এই ট্রলারটি নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে সমুদ্রে পাড়ি দেয়। বকখালি থেকে আরও ঘন্টা দুই যাওয়ার পর ট্রলারের পাটাতন ফেটে জল ঢুকতে থাকে। ট্রলারে থাকা মৎস্যজীবীরা বাঁচার জন্য চিৎকার করতে থাকেন। পরে অন্য ট্রলারের মৎস্যজাবীরা উদ্ধার করেন। তবে ট্রলারে কতজন মৎস্যজীবী ছিল তা খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। ট্রলারটি ডুবে গিয়েছে।
আরও পড়ুন, মা-বাবা-বোন সহ পরিবারের ৪ জনকেই খুন, মাটির নীচে পুতে রাখল একমাত্র ছেলে
প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই ট্রলার উল্টে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে নন্দীগ্রামে। নন্দীগ্রামের কেন্দামারি-জালপাইয়ের গঙ্গামেলার ঘাটে মাছ ধরার ট্রলার উল্টে মৃত্যু হয় একাধিক জনের। মাছ ধরার জন্য মোট ১৩ জন মৎস্যজীবী ট্রলারে ছিলেন। নন্দীগ্রামের এই সকল মৎস্যজীবী বংশানুক্রমে এই পেশার সঙ্গে যুক্ত। নদীর হাভভাব তাঁদের নখদর্পণে। পরে নিখোঁজদের উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। তবে এবার হাওয়া অফিস আগাম জানিয়েছিল যে,প্রবল বর্ষণ এবং বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্তের জেরে ১৯ তারিখ পর্যন্ত মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যেতে মানা। তারপরেও কী কারণে হাওয়া অফিসের নিষেধাজ্ঞা জারি সত্বেও বঙ্গোপসাগরে তাঁরা ট্রলার নিয়ে গেল কিংবা আগেই উপকূলে ফিরল না, এনিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।