ভারী বর্ষণে বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরে, হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি

এই জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ত্রাণশিবিরে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা।

Asianet News Bangla | Published : Jul 31, 2021 5:05 PM IST

আজ আর নতুন করে বৃষ্টি হয়নি। কিন্তু, দু'দিনের ভারী বৃষ্টিতে প্লাবিত হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা। জলে ডুবে গিয়েছে বেশ কিছু গ্রাম। বিপর্যস্ত জনজীবন। ভেঙে পড়েছে একাধিক বাড়ি। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে এখনও পর্যন্ত এই জেলায় মোট চারজনের মৃত্যু হয়েছে।  

 

বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে এই জেলায়। সমস্যায় পড়েছেন কয়েক লক্ষ মানুষ। এই জেলায় গতকালই তিনজনের মৃত্যু হয়েছিল। আর আজ কেশপুরের ঝেতলায় জলে ডুবে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম দীপক পাতর (২২)। বাড়ি বাঁকাবাড়ে। রাস্তা পার হতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। নদী ও রাস্তার মধ্যে কোনও পার্থক্যই বোঝা যাচ্ছে না। রাস্তার উপর দিয়ে, গ্রামের মধ্যে দিয়ে হু হু করে বয়ে চলেছে নদী। ফলে সেই জল পেরিয়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে গিয়ে সমস্যায় পড়ছেন স্থানীয়রা।  

আরও পড়ুন- সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিচ্ছেন বাবুল, জানালেন সোশ্যাল মিডিয়াতে 

এই জেলায় এখনও পর্যন্ত প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বহু মানুষকে আশ্রয় নিতে হয়েছে ত্রাণশিবিরে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক রশ্মি কমল, বিধায়ক ও জনপ্রতিনিধিরা। জানা গিয়েছে, গত দুদিনের অতিবর্ষণে জেলার ২০৭ টি গ্রাম পঞ্চায়েত ও পুর ওয়ার্ডে জলে ডুবে গিয়েছে। সরকারী হিসেব অনুযায়ী এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ ২২ হাজার ২০৪ জন মানুষ প্লাবনের জেরে সমস্যায় পড়েছেন। 

আরও পড়ুন- 'উনি কি ইস্তফা দিয়ে দিয়েছেন', বাবুলের রাজনীতি ছাড়া নিয়ে প্রশ্ন দিলীপের

সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দাসপুর এক নম্বর ব্লক। সেখানে ৪৫ হাজার ৬৫২ জন প্লাবনের কবলে পড়েছেন। এছাড়াও রয়েছে ঘাটাল পুরসভা, চন্দ্রকোনা এক ও দুই, কেশপুর, মেদিনীপুর সদর, গড়বেতা। এখনও পর্যন্ত ৫ হাজার ৫৬৯ টি বাড়ি সম্পূর্ণ ও আংশিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার মধ্যে সবথেকে বেশি বাড়ি ভেঙে পড়েছে দাসপুর এক, ঘাটাল পুরসভা, ক্ষীরপাই পুরসভা, চন্দ্রকোনা দুই ব্লকে। জেলাজুড়ে ১২০ টি ত্রাণশিবির তৈরি করা হয়েছে। প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন। তাঁরা কেউ আত্মীয়র বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন তো কেউ ত্রাণশিবিরে রয়েছেন। দুর্গত মানুষকে উদ্ধারে মোট ৪১ টি স্পিডবোট ও দেশি নৌকা নামানো হয়েছে। 

আরও পড়ুন- 'করোনার নামে তাঁদের কোনও কর্মসূচিই করতে দেওয়া হয় না', 'ম্যারাথন হচ্ছেই', চ্যালেঞ্জ দিলীপের


Share this article
click me!