ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এখনই খোলসা করে কিছু জানাননি বাবুল। শুধু পোস্টের শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, "কিছু কথা বাকি রয়ে গেল...হয়তো কখনও বলব...আজ নাই বা বললাম...চললাম..."।
শনিবার বিকেলে ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে রাজনীতি ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন বাবুল সুপ্রিয়। এরপর সেই পোস্ট এডিট করে জানান সাংসদ পদ থেকেও ইস্তফা দিতে চলেছেন তিনি। তবে রাজনীতি ছেড়ে দিলেও সমাজসেবামূলক কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছে। এদিকে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে এখনই খোলসা করে কিছু জানাননি তিনি। শুধু পোস্টের শেষের দিকে তিনি লিখেছেন, "কিছু কথা বাকি রয়ে গেল...হয়তো কখনও বলব...আজ নাই বা বললাম...চললাম..."। আর এভাবেই জল্পনা জিইয়ে রেখে রাজনীতি থেকে বিদায়ের ঘোষণা করেন তিনি।
দীর্ঘদিন ধরেই বিজেপির অন্দরে বাবুল বিরোধী গোষ্ঠী ছিল। এমনকী, রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের সঙ্গে তাঁর মতের মিল ছিল না। তবে শীর্ষ নেতৃত্ব পাশে থাকায় তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। সমস্যা শুরু হয় বিধানসভা নির্বাচনের পর। টালিগঞ্জে তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়েছিল। সেখানে অরূপ বিশ্বাসের কাছে হেরে যান তিনি। এরপর কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব খোয়াতে হয়েছিল তাঁকে। তখন থেকেই দলের দলের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিতে শুরু করেছিলেন। আর তখন থেকেই তাঁর দল ছাড়া নিয়ে দানা বাঁধতে শুরু করেছিল জল্পনা। অবশেষে আজ সেই জল্পনার অবসান ঘটান তিনি নিজেই।
আপও পড়ুন- 'আলবিদা...', রাজনীতি ছাড়লেন বাবুল সুপ্রিয়
বেশ কিছুদিন ধরেই রাজনীতি ছাড়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছিলেন বাবুল। কথা বলছিলেন পরিবার, পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে। তাঁর ঘনিষ্ঠদের দাবি, অভিমান ও ক্ষোভ থেকেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। দিলীপ ঘনিষ্ঠদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক কোনওদিনই ভালো ছিল না। একাধিকবার দিলীপ ঘনিষ্ঠদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন তিনি। বিভিন্ন সময় প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয়েছে তাঁকে। মনে এই সব ক্ষোভ নিয়েই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
এদিকে আজ বিকেলে বাবুলের ওই পোস্ট ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়তেই জল্পনা শুরু হয়ে যায়, তা হলে কি সাংসদ পদও ত্যাগ করতে চলেছেন তিনি? সেই জল্পনাই সত্যি করে ঠিক ঘণ্টাখানেক বাদে রাজনীতি থেকে বিদায় জানানোর পোস্টেই একটি বাক্য জুড়ে সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দেন তিনি। লেখেন, "হ্যাঁ, সাংসদ পদ থেকেও অবশ্যই ইস্তফা দিচ্ছি।"
আরও পড়ুন- 'চাষিদের ভুল বুঝিয়ে টাকা লুঠ', কৃষক বন্ধু প্রকল্পে ১২০ কোটি টাকা ঢুকতেই অভিযোগ BJP-র
তবে এরপর কী করবেন বাবুল? তা অবশ্য কেউই জানেন না। সবার আগে সাংসদপদ থেকে ইস্তফা দেবেন বলে ঠিক করে ফেলেছেন। তবে হঠাৎ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কেন রাজনীতি ছাড়লেন বাবুল? এর কারণ হিসেবে তিনি লিখেছেন, "আমার আমি' কি করতে চাই তা যখন আমি অনেকদিন আগেই ঠিক করে ফেলেছি। কাজেই আবার একই কথার পুনরাবৃত্তি করতে গেলে কোথাও না কোথাও তাঁরা ভাবতেই পারেন যে আমি কোনো 'পদের' জন্য 'দরাদরি' করছি। আর তা যখন একেবারেই সত্য নয় তখন একেবারেই চাই না যে তাঁদের মনের ঈশান কোণেও সেই 'সন্দেহের' উদ্রেক হোক এক মুহূর্তের জন্য হলেও। প্রার্থনা করি ওঁরা আমায় ভুল না বুঝে, ক্ষমা করবেন।"