খবর পেয়ে বনদপ্তর এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। তবে ওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ বাঘের কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
আবারও অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে লালগড়ে দেখা দিল বাঘের আতঙ্ক। লালগড়ের কুমিরপাতার জঙ্গলের মধ্যে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ ঘিরে আতঙ্কিত স্থানীয়রা। গত মঙ্গলবার লালগড় রেঞ্জের(Lalgarh Range) কুমিরপাতার জঙ্গলে বনসুরক্ষা কমিটির লোকজন পায়ের ছাপগুলি(footprints of an unknown animal) দেখতে পায়ে লালগড় রেঞ্জ অফিসে খবর দেয়। এদিন বুধবার বিকেলে ফের জঙ্গলের রাস্তায় ওই পায়ের ছাপ দেখতে পায় বনকর্মীরা।
এদিনের ঘটনায় ২০১৮ সালে মার্চ মাসে রয়্যাল বেঙ্গলের আতঙ্ক ফের ফিরে এসেছে গোটা এলাকায়। বুধবার অজানা জন্তুর পায়ের ছাপের বিষয়টি জানাজানি হলে ওই এলাকা জুড়ে ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে বনদপ্তর এর কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে অজানা জন্তুর পায়ের ছাপের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায় পরীক্ষার জন্য। তবে ওই অজানা জন্তুর পায়ের ছাপ বাঘের কিনা তা এখনও জানা যায়নি।
২০১৮ সালে লালগড় জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এর আগমন এখনও মানুষ ভুলে যায়নি। তাই মানুষের মনে ঘোরাফেরা করছে ফের কি লালগড়ের জঙ্গলে বাঘ এসেছে। তাই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বনদপ্তর। তবে তা সত্ত্বেও ওই এলাকার বাসিন্দারা যথেষ্ট আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন। বিশেষ করে জঙ্গল ঘেরা গ্রাম গুলির বাসিন্দারা বাঘ আতঙ্কে যথেষ্ট চিন্তায় পড়েছেন।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে লালগড়ে বাঘের আতঙ্কে ঘুম উড়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। সেই বাঘ ধরার জন্য সুন্দরবন থেকে চার সদস্যের বাঘ বিষয়ে বিশষজ্ঞ দল হাজির হয়েছিলেন ৷ সঙ্গে আনা হয়েছিল বাঘ ধরার খাঁচা ৷ প্রাথমিক পর্যবেক্ষণের পরে বন দফতরকে দিয়ে গ্রামবাসীদের মাইকিং করে সতর্ক করিয়ে সম্ভাব্য বাঘ থাকার স্থানে খাঁচা পাতেন ৷ খাঁচার ভিতরে ছাগল দিয়ে রাতেই বিনপুর থানার অন্তর্গত মালাবতির জঙ্গলের ভেতরে এই খাঁচা লাগানো হয় ৷ রাতেই লাগানো হয়েছে বিশেষ সেন্সর ক্যামেরা ৷ ঝাড়গ্রামের ডিএফও বাসব রাজ হেলেইচ্চি বলেন- 'একটি স্থানে খাঁচা পাতা হয়েছে ৷ সেই সঙ্গে ক্যামেরা লাগানো হচ্ছে ৷ গ্রামবাসীদেরও সতর্ক করা হয়েছে ৷ রাতে বাঘের কোনও সন্ধান না পেলে দিনের বেলা ড্রোন উড়িয়ে খোঁজ করা হবে ৷
এদিকে এলাকার লক্ষণপুর, মালাবতী, কালিয়াম, সাতবাঁকি সহ লাগোয়া গ্রামগুলিতে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা সুনীল মুর্মু, বনপতি মাহাতো, মিঠু মাহাতোরা বলেন, 'পায়ের ছাপ দেখা গিয়েছে। বন দফতর আমাদের সাবধানে থাকতে বলেছে। আমরা সবাই আতঙ্কে রয়েছি।'