Arms Recovered: মাটি খুঁড়তেই বেরল প্রচুর বন্দুক, কার্তুজ- হতবাক গ্রামবাসী

বুধবার দুপুরে নাগাদ বড়ডাঙ্গা গ্রামের মানুষ জমি সমতল করার জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু করে। মাটি কিছুটা কাটতেই ভেতর থেকে প্রায় ৫০-৬০টি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়। 

Parna Sengupta | Published : Jan 20, 2022 12:56 AM IST / Updated: Jan 20 2022, 03:41 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুরের (West Midnapore) গোয়ালতোড়ের (GoalTor) বড়ডাঙাতে মাটি খুঁড়তে (digging) গিয়ে উদ্ধার হল প্রচুর বন্দুক ও কার্তুজ (Lots of guns and ammunition)। মাটি খুঁড়ে গোয়ালতোড় থানার বড়ডাঙ্গা গ্রামে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ  উদ্ধার করল পুলিশ (Police)। বুধবার দুপুরে নাগাদ বড়ডাঙ্গা গ্রামের মানুষ জমি সমতল করার জন্য মাটি কাটার কাজ শুরু করে। মাটি কিছুটা কাটতেই ভেতর থেকে প্রায় ৫০-৬০টি দোনলা বন্দুক বস্তাবন্দি অবস্থায় উদ্ধার হয়। এছাড়াও প্রায় হাজার খানেক কার্তুজ দেখতে পেয়ে স্থানীয় মানুষজন গোয়ালতোড় থানার পুলিশকে জানায়। 

পুলিশ এসে বন্দুক ও কার্তুজ উদ্ধার করে গোয়ালতোড় থানায় নিয়ে যায়। নলবনা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় সাউ জানান স্থানীয় মানুষ মাটি কাটতে গিয়ে বন্দুক দেখতে পেয়ে আমাকে জানান। আমি গোয়ালতোড় থানায় খবর পাঠাই। পুলিশ বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান এই এলাকা থেকে কিছুটা দূরে হার্মাদ ক্যাম্প ছিল। এইগুলি তাদের ব্যবহৃত অস্ত্র হতে পারে।

আরও পড়ুন-স্ত্রীর প্রেমিকের হাতে খুন স্বামী, ব্যাপক চাঞ্চল্য পুরুলিয়ায়

আরও পড়ুন-এগিয়ে না পিছিয়ে বাংলা তা ঠিক করুক বর্তমান প্রজন্ম, ফের শমীকের নিশানায় মমতা

বিজেপি নেতা গৌতম কৌড়ির অভিযোগ কোন দেশবিরোধী শক্তি এখানে বন্দুক রেখেছিল কিনা তার জন্য সঠিক তদন্তের প্রয়োজন। তিনি আরো বলেন এই ঘটনায় N.I.A তদন্ত প্রয়োজন।

২০২০ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ঠিক একই জায়গা থেকে বন্দুক উদ্ধার হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে জঙ্গলের ভিতর পে লোডার দিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে পড়ে থাকা মাটি খুঁড়ে বিকল আগ্নেয়াস্ত্র গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। গোয়ালতোড়ের উখলার জঙ্গলে অভিযান চালায় গোয়ালতোড় থানার পুলিশ। জঙ্গলের ভিতর পুলিশি পাহারায় পে লোডার দিয়ে আচমকাই মাটি খুঁড়তে দেখে চাঞ্চল্য ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। জঙ্গলের ভিতর বেশ কিছু গভীরে মাটি খুঁড়তে আগ্নেয়াস্ত্রের হদিশ পায় পুলিশ। 

মাটি খুঁড়ে উদ্ধার হয় সাতটি একনলা বন্দুক, একটি পিস্তুল, কয়েকটি অ্যালুমিনিয়ামের পাত্র বা ক্যান এবং তার। উদ্ধার হওয়া ক্যান দেখে পুলিশের অনুমান এগুলি মাইন তৈরির জন্য ব্যবহার করা হত। এছাড়াও, কিছু যন্ত্রাংশ উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি আগ্নেয়াস্ত্র তৈরির জন্য ব্যবহার করা হত বলে অনুমান।

প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, বিগত কয়েক বছর আগে জঙ্গলমহলে মাওবাদী গতিবিধি থাকার সময় এই আগ্নেয়াস্ত্র গুলি ব্যবহার করত মাওবাদীরা। কিন্তু মাওবাদীদের অস্তিত্ব ওই এলাকায় নেই বলে পুলিশের দাবি। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ওই আগ্নেয়াস্ত্রগুলি উদ্ধার করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিশ।

"

Share this article
click me!