সকাল থেকেই দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু, একাধিক প্রকল্পের ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। সেই কারণে তাঁদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলেন বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর সহকর্মীরা।
রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প নিয়ে সমালোচনা শোনা যায় বিরোধীদের মুখে। কিন্তু, এবারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচিতে একেবারে অন্য ছবি ধরা পড়েছে। এই শিবিরে সাধারণ মানুষকে সাহায্যের জন্য বিভিন্ন জায়গায় এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে বিরোধীদের। কখনও সিপিএম তো কখনও বিজেপি নেতারা এগিয়ে গিয়েছেন সাহায্যের জন্য। এবারও তার অন্যথা হল না। এবার এগিয়ে গেলেন বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর সহকর্মীরা। আর রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যাওয়ার এই ছবি ধরা পড়ল পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ির খাজরা এলাকায়।
সকাল থেকেই দুয়ারে সরকার শিবিরে ভিড় জমিয়েছিলেন সাধারণ মানুষ। কিন্তু, একাধিক প্রকল্পের ফর্ম ফিলআপ করতে গিয়ে অনেক সময় সমস্যায় পড়তে হয় স্থানীয়দের। সেই কারণে তাঁদের সাহায্য করার জন্য এগিয়ে গেলেন বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর সহকর্মীরা। তাঁদের দাবি, সাধারণ মানুষের স্বার্থে তাঁদের এটা করতেই হবে। এ প্রসঙ্গে বিজেপি জেলা সভাপতি সৌমেন তিওয়ারি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এই প্রকল্পে নিজের টাকা দিচ্ছেন না। তাই সরকারি প্রকল্পে সাধারণ মানুষ যাতে প্রাপ্যটুকু পান তার জন্যই সহযোগিতা করা হয়েছে আমাদের জয়ী হওয়া পঞ্চায়েত এলাকায়।"
এর আগেও মেদিনীপুর সদর ব্লকের গুড়গুড়িপাল এলাকায় দুয়ার সরকার শিবিরে দিনভর ক্যাম্প করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন বিজেপির জেলা পঞ্চায়েত সদস্যরা। তারপর বেশ কিছু জায়গায় সাহায্য করতে দেখা গিয়েছিল বিজেপি কর্মীদের। এমনকী, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কন্যাশ্রীরাও। এবার এগিয়ে এলেন বিজেপির বুথ সভাপতি কালাচাঁদ মাহালা ও তাঁর সহকর্মীরা।
আরও পড়ুন- উপনির্বাচনের আগে শাহি-সাক্ষাৎ শুভেন্দুর, কথা রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে
সকাল থেকেই খাজরা সতীশ চন্দ্র মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয়ে আয়োজিত দুয়ারে সরকার শিবিরে উপস্থিত হয়ে সাধারণ মানুষকে ফর্ম ফিলআপে সক্রিয়ভাবে সহযোগিতা করেছেন কালাচাঁদ মাহালা। পাশাপাশি বিভিন্ন প্রকল্পের প্রশংসাও করেন তিনি। কালাচাঁদ খাজরা গ্রাম পঞ্চায়েতের আমগেড়িয়ার বুথ সভাপতি। বেঞ্চে বসে সাধারণ মানুষের ফর্ম ফিলআপ করে দেন তিনি। জিজ্ঞাসা করলে বলেন, "মানুষের যাতে উপকার হয় সেই জন্যই এসেছি। প্রকল্পগুলি থেকে মানুষ উপকৃত হচ্ছেন বলেই দলবেঁধে আসছেন। আমরা যথাসাধ্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছি। বিতর্কের কিছু নেই। সাধারণ মানুষকে বিনা পারিশ্রমিকে সহযোগিতা করছি, এতে বিতর্কের কি আছে।"
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃতীয় চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, মিঠুন বাগদি খুনে পেশ নতুন চার্জশিট
এ প্রসঙ্গে সৌমেন তিওয়ারি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রী এই সব প্রকল্পে নিজের টাকা বিলি করছেন না। সাধারণ মানুষের তাঁর ট্যাক্সের টাকা থেকে পাচ্ছেন। খাজরার ওই এলাকা আমাদের জেতা পঞ্চায়েত এলাকা। তাই আমরাও চাই না আমাদের ভোটদাতারা এই সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হন। তাই মানুষের স্বার্থে বিজেপি কর্মীরা এগিয়ে এসেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারি প্রকল্পের সুবিধাও তো নিয়ে থাকেন তৃণমূল নেতারা।"
আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীর দিন ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা, ভোট গ্রহণ ৩০ সেপ্টেম্বর
সরকারে প্রকল্পে সাধারণ মানুষকে সুবিধা দিতে যেভাবে বিজেপি কর্মীরা সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাতে খুশি তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা। পাশাপাশি বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, "বিজেপির একজন বুথ স্তরের কর্মীর মাথায় যে বোধবুদ্ধি আছে,তা দিলীপ ঘোষদের মাথায় নেই! আর, পূর্ব মেদিনীপুরের ওই দুর্নীতিগ্রস্ত নেতা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না। তবে, এই ধরনের মানবিক কাজে এগিয়ে আসার জন্য বিজেপির বুথ সভাপতি ও তাঁর সহ কর্মীদের ধন্যবাদ জানাই।"