কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের আগে এই সাক্ষাৎকার রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
৩০ সেপ্টেম্বর ভবানীপুরে উপনির্বাচন রয়েছে। সেখানে তৃণমূলের টিকিটে লড়াই করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তার আগেই ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। নির্বাচনের আগে এই সাক্ষাৎকার রাজনৈতিকভাবে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। মূলত বাংলায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়েই অমিত শাহকে নালিশ জানিয়েছেন শুভেন্দু।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে প্রায় ১৫ মিনিট অমিত শাহের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন শুভেন্দু। বঙ্গ বিজেপির সংগঠন নিয়েও দু'জনের মধ্য়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর টুইট করে এই বৈঠকের কথা জানান শুভেন্দু। তিনি লেখেন, "কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা সবসময়ই আনন্দের। উনি ব্যস্ত সূচি থেকে কিছুটা সময় আমার জন্য বের করেছেন তার জন্য ধন্যবাদ। বাংলার আইন-শৃঙ্খলার অবনতি নিয়ে কথা হয়েছে। বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা যে থামছে না, এই ব্যাপারে তিনিও অবগত।"
আরও পড়ুন- শুধু ভবানীপুরেই নয়, ভোট পরবর্তী হিংসার মামলায় লড়াইটা শুরু BJP প্রার্থী প্রিয়াঙ্কার
আরও পড়ুন- গণেশ চতুর্থীর দিন ভবানীপুর উপনির্বাচনে মনোনয়ন জমা দিলেন মমতা, ভোট গ্রহণ ৩০ সেপ্টেম্বর
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, বাংলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির পাশাপাশি ভবানীপুর উপনির্বাচনে দলের প্রচারের কৌশল কী হতে পারে তা নিয়েও অমিত শাহের সঙ্গে আলোচনা করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় তৃতীয় চার্জশিট পেশ সিবিআইয়ের, মিঠুন বাগদি খুনে পেশ নতুন চার্জশিট
এদিকে রাজ্যে বিজেপির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। এই মুহূর্তে রাজ্যে দুটি কেন্দ্রে নির্বাচন ও একটি কেন্দ্রে উপনির্বাচন রয়েছে। কিন্তু, তার আগেই বিজেপির একাধিক বিধায়ক বিজেপি ছেড়ে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। বিষ্ণুপুর, বাগদা ও কালিয়াগঞ্জের বিধায়ক ইতিমধ্যেই যোগ দিয়েছেন। তা নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তিত বঙ্গ বিজেপি। এদিকে আবার ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, বিজেপি ২৫ জন বিধায়ক তৃণমূলের আসার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে বিধায়কদের দলের মধ্যে আটকে রাখাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ। এই প্রসঙ্গেও তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান ওয়াকিবহাল মহলের।