পুরভোটের আগে দলের বসে যাওয়ার কর্মীদের সক্রিয় করতে উদ্য়োগী হল তৃণমূল। রবিবার উলুবেড়িয়ার এক অনুষ্ঠান বাড়িতে ১৩ জন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা-কর্মীকে আবার ঘরে ফিরিয়ে আনা হল। আর সেই ফিরে আসার অনুষ্ঠানে প্রাক্তনীরা দলের বর্তমান নেতৃত্বের প্রতি একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন। উঠে এল দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রসঙ্গ। চলল তুমুল বাকবিতণ্ডা।
এদিন বাংলার গর্ব মমতা-র অঙ্গ হিসেবেই দলছুটদের ঘরে ফেরানোর উদ্য়োগ নেওয়া হয়। যদিও সরকারিভাবে 'দলছুট' বা 'প্রাক্তনী' বা 'নিষ্ক্রিয়' না-বলে বলা হয়, 'হারিয়ে যাওয়া পার্টি কর্মীদের মূলস্রোতে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে'। যদিও এই মূলস্রোতে ফেরানোর অনুষ্ঠান রীতিমতো বাকবিতণ্ডায় পরিণত হয়। বসে যাওয়া কর্মীরা দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও পুরনো কর্মীদের প্রতি বঞ্চনা নিয়ে সরব হন। বঞ্চনার অভিযোগ তোলেন উলুবেড়িয়া পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল প্রার্থী ফিরোজা বেগম। ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ১৪ বছরের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি মুক্তি অধিকারী দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তোলেন। এদিকে পুরনো নেতাকর্মীদের ক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় বসিরহাটের প্রাক্তন সাংসদ ইদ্রিশ আলিকে। যিনি এক বছর আগে উলুবেড়িয়া পূর্ব কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে জয়ী হন। শেষ পর্যন্ত প্রাক্তন নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ সামলাতে উলুবেড়িয়া পুরসভার জনপ্রিয় চেয়ারম্যান অভয় দাসকে আসরে নামতে হতে হয়। প্রাক্তন নেতা-কর্মীদের ক্ষোভ, অভিমান ও অভিযোগকে যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে প্রতিটি বিষয় আলাপ আলোচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়া হবে বলে পুরসভার চেয়ারম্যান অভয় দাস জানান।
তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিনের ঘটনা আবারও দেখিয়ে দিল, দলের পুরনো নেতা-কর্মীরা কীরকমভাবে দলের ভেতর কোণঠাসা হয়ে পড়েছিলেন।