করোনার থাবায় এবার বেলুড় মঠের ভোগ বিতরণ ও সন্ধ্যারতি, সঙ্গে আরও কিছু বিধিনিষেধ

Published : Mar 15, 2020, 07:19 PM IST
করোনার থাবায় এবার বেলুড় মঠের ভোগ বিতরণ ও সন্ধ্যারতি, সঙ্গে আরও কিছু বিধিনিষেধ

সংক্ষিপ্ত

করোনার সৌজন্য়ে কার্যত বন্ধই হয়ে গেল বেলুড় মঠ ভক্তদের আসার ওপর নিষেধাজ্ঞা না-থাকলেও থাকবে কিছু বিধিনিষেধ ভোগবিতরণ বন্ধ থাকবে, সন্ধ্য়ারতির সময়ে একত্রিত হওয়া যাবে না এমনকি দেখা মিলবে না মহারাজের দর্শন, দীক্ষা দেওয়াও থাকবে স্থগিত

ভক্তদের জন্য় রীতিমতো দুঃসংবাদ। করোনার প্রকোপে এবার বেলুড় মঠে একসঙ্গে বসে সন্ধ্য়ারতি আর দেখা যাবে না। সেইসঙ্গে মঠে গেলে মিলবে না ভোগ প্রসাদও। এমনকি সেখানে গেলে দেখা দেবেন না মঠের অধ্য়ক্ষও। ভক্তদের আসার ওপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি না-করা না হলেও, এইভাবে কার্যত বন্ধই হতে চলেছে বেলুড় মঠ, মনে করছেন অনেকেই।

রবিবার  বেলুড় মঠের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দজি মহারাজ সাংবাদিকদের জানান, বিশ্বস্বাস্থ্য় সংস্থা থেকে শুরু করে সবাই বলছে, একসঙ্গে সমবেত হওয়া থেকেই  এই সংক্রমণ ছড়ায়। তাই  মঠের তরফ থেকে কিছু নিষেধাজ্ঞা জারি করা হচ্ছে। এদিকে মনে করা হচ্ছে, যে ধরনের বিধিনিষেধ শুরু হতে চলেছে সেখানে, তাতে করে ভক্তদের যাওয়াই কার্যত বন্ধ হতে চলেছে। কারণ,  ভোগ বিতরণ বন্ধ হয়ে যাবে অনির্দিষ্টকালের জন্য়। একসঙ্গে বসে সন্ধ্য়ারতি  দেখা আর সেইসঙ্গে 'খণ্ডন-ভব-বন্ধন' শোনার সেই স্বর্গীয় অনুভূতিও আর অনুভব  করতে পারবেন না ভক্তরা। এমনকি সেখানে গেলে মিলবে না মঠের অধ্য়ক্ষের  দর্শনও। শুধু তাই নয়। সাময়িকভাবে বন্ধ হয়ে যাবে দীক্ষা দেওয়াও। সুবীরান্দজি মহারাজের কথায়, "মঠের প্রেসিডেন্ট মহারাজ আপাতত শিষ্যদের দীক্ষাদান স্থগিত রেখেছেন। একই সঙ্গে তিনি ও মঠের অন্যান্য মহারাজরা আগত ভক্তদের সঙ্গে সাক্ষাৎ বন্ধ রেখেছেন। এখন থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মঠে সমস্ত রকম জমায়েতের উপরেও স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বেলুড় মঠের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গেস্ট হাউজটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে মঠে ভোগ বিতরণ, প্রেসিডেন্ট মহারাজকে দর্শন এবং মন্দিরে আরতির সময় একসঙ্গে বসে আরতি দেখা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হল। তবে ভক্তদের মঠে আসার উপরে কোনও রকম নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়নি।"

ভক্তদের আসার ওপর কোনওরকম নিষেধাজ্ঞা জারি না-করা হলেও প্রশ্ন উঠেছে, একসঙ্গে বসে সন্ধ্য়ারতি যদি না-দেখা যায়, খন্ডনভব যদি না-শোনা যায়, মহারাজের দর্শন যদি না-পাওয়া যায়, তাহলে এসে কী লাভ? যদিও মঠের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, আগত ভক্তদের দেখভালের জন্য বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ বিশেষ ব্যবস্থা হিসাবে স্বেচ্ছাসেবকদের একটি বাহিনী তৈরি করেছে। যাঁরা সারিবদ্ধভাবে ঠাকুরকে প্রণাম এবং দর্শনের সুযোগ করে দেবেন। এছাড়াও মন্দিরের পাশে এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জায়ান্ট স্ক্রিন আছে সেখানে বসেও যাতে ভক্তরা সন্ধ্য়ারতি দেখতে পান তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: মেসিকে নিয়ে মমতার আসল পরিকল্পনা কী ছিল? আজ সব ফাঁস করলেন শুভেন্দু
Suvendu Adhikari : 'বিজেপিকে আনুন, এইসব নাম মুছে দেব' আসানসোলে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর