দিঘায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী, বাবাকে ধরিয়ে দিল চার বছরের ছেলে

Published : Nov 18, 2019, 09:46 AM ISTUpdated : Nov 18, 2019, 09:58 AM IST
দিঘায় গৃহবধূর রহস্যমৃত্যুতে গ্রেফতার স্বামী, বাবাকে ধরিয়ে দিল চার বছরের ছেলে

সংক্ষিপ্ত

গত বুধবার দিঘার হোটেলে উদ্ধার হয় গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ প্রাথমিকভাবে সন্দেহ করা হয় গৃহবধূর প্রেমিককে তদন্তে নেমে অন্য তথ্য উঠে আসে পুলিশের হাতে স্বামীর সঙ্গে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই হোটেলেরই এক কর্মীকে

দিঘার হোটেল থেকে ডানকুনির গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর মোড়। প্রথমে সন্দেহ করা হয়েছিল, নিজের প্রেমিকই খুন করেছে বছর কুড়ির ওই তরুণীকে। কিন্তু ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী গৃহবধূর চার বছরের শিশুপুত্রকে জেরা করেই চাঞ্চল্যকর তথ্য় উঠে এল তদন্তকারীদের হাতে। সেই সূত্রেই গ্রেফতার করা হল গৃহবধূর স্বামী এবং ওই হোটেলেরই এক কর্মীকে। কিন্তু মৃতার স্বামী কীভাবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, তদন্তের স্বার্থে তা নিয়ে এখনও মুখ খুলছে না দিঘা থানার পুলিশ। 

গত বুধবার দিঘা বাস ডিপোর কাছে একটি হোটেলের ঘরের ভিতর থেকে উদ্ধার হয় ডানকুনির বাসিন্দা পিয়ালি দেঁড়ে (২০) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ। ওই গৃহবধূর দুই হাত কাপড় দিয়ে বাঁধা ছিল। যা দেখে পুলিশ নিশ্চিত হয়, খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে ওই গৃহবধূকে। ওই ঘরের মধ্যেই মৃতার চার বছরের শিশুপুত্রকে। মৃতার বোন দাবি করেছিলেন, ঘটনার আগের দিন রাতে মেসেজ করে এক যুবকের সঙ্গে তিনি দিঘায় এসেছেন বলে দাবি করেছিলেন পিয়ালি। যদিও, পুলিশ জেনেছে ঘটনার আগের দিন বিকেলে ছেলেকে নিয়ে একাই ওই হোটেলে এসে উঠেছিলেন পিয়ালি। 

তদন্তে নেমে পুলিশ মৃতার শিশুপুত্রের সঙ্গে কথা বলে। তার পরই গ্রেফতার করা হয় মৃতার স্বামী প্রসেনজিৎ দাসকে গ্রেফতার করে পুলিশ। একই সঙ্গে গ্রেফতার করা হয় ওই হোটেলের কর্মী কার্তিক জানাকে। রবিবারই তাদের কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হয়। 

আরও পড়ুন- প্রেমিকের সঙ্গে দিঘায় গিয়ে রহস্যমৃত্যু গৃহবধূর, উদ্ধার চার বছরের ছেলে

তদন্তের স্বার্থে এখনই বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও সূত্রের খবর, পিয়ালির শিশুপুত্রের থেকে পাওয়ার তথ্যের ভিত্তিতেই গ্রেফতার করা হয়েছে মৃতার স্বামীকে। সূত্রের খবর, ওই শিশু পুলিশকে জানিয়েছে, পিয়ালি ওই হোটেলে আসার পরে সেখানে এসেছিল তার স্বামী প্রসেনজিৎ। যদিও, সেকথা তদন্তকারীদের জানায়নি প্রসেনজিৎ। অন্য যুবকের সঙ্গে দিঘায় আসার কথা পিয়ালি নিজেই মেসেজ করে বোনকে জানিয়েছিলেন, নাকি পুলিশকে বিভ্রান্ত করে পিয়ালির ফোন থেকে অন্য কেউ এই মেসেজ পাঠিয়েছিল, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 

পিয়ালির মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে পরিবারের অন্যান্যদের সঙ্গে প্রসেনজিৎও দিঘার ওই হোটেলে এসেছিল। সে নিজেই যে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত, চার বছরের শিশুটি না থাকলে তা জানাই দুষ্কর হতো তদন্তকারীদের কাছে। 
 

PREV
click me!

Recommended Stories

এসআইআর-এর প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হতেই আতঙ্কে বাংলাদেশিরা, সীমান্তে বাড়ছে ঘরে ফেরার ভিড়
Dilip Ghosh: ‘তৃণমূলের জন্য আন্তর্জাতিক অপমান হল বাংলার!’ যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা নিয়ে চরম কথা দিলীপের