লকডাউনের জেরে আগেই কাজ-হারা, বাঁধ ভাঙা প্লাবন বাকিটুকুও নিয়ে গেল দক্ষিণ ২৪ পরগণার গ্রামবাসীদের

 

  • পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলের স্রোতে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত দক্ষিণ ২৪ পরগণার এলাকা 
  • বুধবার সকালে জোয়ারের সময় বাঁধ ভাঙে ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরদাস পাড়ায় 
  • ধান খেত থেকে শুরু করে সাধারণ বাড়ি ঘর সবকিছুই প্লাবিত হয়েছে এই বিস্তীর্ণ এলাকার 
  • কীভাবে এখন দিন কাটবে তা বুঝে পারছেন না এই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় শতাধিক পরিবার 
     

Ritam Talukder | Published : Apr 8, 2020 12:04 PM IST / Updated: Apr 08 2020, 05:49 PM IST


 সামনেই পূর্ণিমা। আর সেই পূর্ণিমার ভরা কোটালের জলের স্রোতে নদী বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল দক্ষিন ২৪ পরগণার বাসন্তী ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকা। বুধবার সকালে জোয়ারের সময় বাঁধ ভাঙে ফুলমালঞ্চ গ্রাম পঞ্চায়েতের গৌরদাস পাড়ায়। সেখান থেকে জল ঢুকে চার চারটি গ্রাম প্লাবিত হয়। ধান খেত থেকে শুরু করে সাধারণ বাড়ি ঘর সবকিছুই প্লাবিত হয়েছে এই বিস্তীর্ণ এলাকার।

 

 

শহরে দেদার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ, মোট ৯৮ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ

একদিকে  করোনা আতঙ্কে গৃহবন্দি মানুষজন অন্যদিকে সেই ঘরেই জল ঢুকে যাওয়ায় ঘর থেকে বেরিয়ে উঁচু জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষজন। কি খাবেন, কি করবেন কিছুই বুঝে উঠতে পারছেন না। অনেকে ঘর থেকে সব কিছু জিনিষপত্র বের করতে পারেন নি। লকডাউনে কাজ না থাকায় এমনিতেই সমস্যায় ছিলেন এই এলাকার মানুষজন। তার উপর এই বাঁধ ভেঙে গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় অনেকের ঘরে জল ঢুকে গিয়েছে। ধান জমিতে নোনা জল ঢুকে নষ্ট হয়েছে। পুকুর প্লাবিত হয়ে মাছ নষ্ট হয়েছে। কিভাবে যে এখন দিন কাটবে তা বুঝে উঠতে পারছেন না এই গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় শতাধিক পরিবার। এলাকার মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে বাঁধের দুরবস্থার কথা প্রশাসনকে জানিয়েছেন। কিন্তু বাঁধ মেরামতির কোন উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তৈরি হয়নি কংক্রিটের বাঁধ। ফলে আরও একবার নদীর নোনা জল ঢুকে প্লাবিত হল গ্রাম।  

বাড়িতে আলো জ্বালাতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী, মোমবাতি হাতে রাস্তায় অতি উৎসাহীরা

যদিও বাঁধ ভাঙার খবর পেয়ে স্থানীয় প্রশাসনের আধিকারিক, সেচ দফতরের আধিকারিকরা গ্রামে আসেন। সেখানে গ্রামের ক্ষতিগ্রস্থ মানুষজন তাদেরকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। বিক্ষোভের মুখে পড়ে আধিকারিকরা বাঁধ মেরামতি শুরু করেন। গ্রামের কিছু মানুষও বাঁধ মেরামতিতে হাত লাগান। দ্রুত বাঁধ মেরামতি করা হয়। এ বিষয়ে বাসন্তীর সেচ দফতরের আধিকারিক মনোজ চক্রবর্তী বলেন,'দীর্ঘদিন ধরেই এই বাঁধটি খারাপ অবস্থায় রয়েছে। এটি ভাঙনের মুখ হওয়ার কারণে সমস্যা হচ্ছে। আমরা দ্রুত বাঁধ মেরামতির কাজ করছি। যাতে নতুন করে এই বাঁধ ভেঙে গ্রামে জল না ঢোকে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে'। এলাকার মানুষজন দাবি করেন, ' কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণ না হলে এই এলাকার নদীবাঁধ টিকবে না। মাটি দিয়ে বাঁধ বাধলে আবার ভাঙবে।'

 

 

 রাজ্য়ে করোনায় আক্রান্ত এবার এক নার্স, পরিবারকে কোয়ারেনটাইনে থাকার নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের

করোনা আক্রান্তদের এমআর বাঙ্গুরে স্থানান্তর ঘিরে তুলকালাম, অভিযোগ নিয়ে অবস্থান বিক্ষোভে নার্সরা

পাঁচিল টপকালেই ভাইরাস এক্সপার্ট সেন্টার, তবুও মুখ ফিরিয়ে মেডিক্য়াল কলেজ

Share this article
click me!