GAS Cylinder: গ্যাস এজেন্সিগুলির যোগসাজশ,গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে নয়া কালোবাজারির পর্দা ফাঁস পুলিশের


গ্রাহকের সারা বছরের প্রাপ্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্সির থেকে  সংগ্রহ করে না। সেই সিলিন্ডার কম মুল্যে কিনে নিচ্ছিল এক ব্যাক্তি ৷ 

Asianet News Bangla | Published : Oct 30, 2021 6:10 PM IST

এমনিতেই রান্নার গ্যাসের (Cooking Gas) দাম বাড়ায় চারম সংকটের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন গৃহস্থ। তারপর এবার রান্নার গ্যাস নিয়ে সামনে এল নয়াকেলেঙ্কারি। গ্রাহকের সংগ্রহ না করা এলপিজি সিলিল্ডার কমদামে এজেন্সি থেকে কিনে নিয়ে তাই মজুত করে রাখছিল। পরে সেই গ্যাস সিলিন্ডার চড়াদামে বিক্রি করার মতলব এঁটেছিল বলে অনুমান পুলিশের। গোপনসূত্রে খবর পেয়ে এদিন সেই বেআইনি গোডাউনে হানা দেয় মেদিনীপুর শহরের (Midnapure City)পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করে কয়েকশো গ্যাস সিলিন্ডার। 

গ্রাহকের সারা বছরের প্রাপ্য রান্নার গ্যাস সিলিন্ডার এজেন্সির থেকে  সংগ্রহ করে না। সেই সিলিন্ডার কম মুল্যে কিনে নিচ্ছিল এক ব্যাক্তি ৷ গ্রাহককে সামান্য মুল্য দিয়ে তার কাছ থেকে গ্যাস বই সংগ্রহ করে, তাঁর নামে তুলে নেওয়া হতো গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার ৷ এমন বহু গ্রাহকের গ্যাস বই মারফত গ্যাস সংগ্রহ করে মজুত করেছিলেন মেদিনীপুর শহরের এক ব্যবসায়ী ৷  নির্দিষ্ট সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে পুলিশ শনিবার বিকেলের পরে ওই গ্যাসের গোডাউনে হানা দেয়। কয়েকশো বিভিন্ন গ্যাসের সিলিন্ডার বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।তবে ফেরার মালিক ৷ 

Local Train: রবিবার থেকে রাজ্যে ছুটবে লোকাল ট্রেন, তার আগে নজর রাখুন এই ৫টি বিষয়ে

World Highest Polling Station: কনকনে শীতে বরফ ঠেলে ভোট দিল তাশিগাং, বিশ্বের সর্বোচ্চ ভোট কেন্দ্রে রেকর্ড

PM Modi: করজোড়ে প্রণাম, G-20 শীর্ষ সম্মেলনের এই ছবিগুলি বলে দেয়আন্তর্জাতিক স্তরে কতটা গুরুত্বপূর্ণ ভারত

শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে মেদিনীপুর শহরের প্রান্তে নগারচক এলাকায়। ওই এলাকার বাসিন্দা কুন্তল কোলামুড়ি নিজের বাড়িতে ওই গ্যাস মজুত করেছিলেন। কুন্তল বাবুর স্ত্রী চঞ্চলা কোলামুড়ি বলেন -" সমস্ত গ্রাহকের বছরের প্রাপ্য সমস্ত গ্যাস সিলিন্ডার সকলে তোলেন না। তার যতটা দরকার তারপরের গ্যাস সিলিন্ডার গুলি আমরা ওই গ্রাহকের গ্যাস বই নিয়ে গোডাউন থেকে কিনে নিই। নিজের বাড়িতে রেখে পরে ওই গ্যাস সিলিন্ডার গুলি আবার কারো প্রয়োজন হলে বিক্রি করি। এভাবেই গ্যাস মজুত করা হয়েছিল।"

পুলিশ জানিয়েছে, এই পদ্ধতিতে গ্যাস মজুদ করা সম্পূর্ণ বেআইনি। তাছাড়া লোকালয়, বিভিন্ন পরিবার ভর্তি এলাকার মাঝে পরিকাঠামো ছাড়াই যেভাবে একটি ঘরের মধ্যে গ্যাসের গোডাউন করা হয়েছিল তাতে কোনোভাবে আগুন লেগে যাওয়া বা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে পুরো এলাকাটাতে বিপদের সম্ভাবনা ছিল। তাই বেআইনী ভাবে গ্যাস মজুত করার অভিযোগে প্রয়োজনীয় আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে ৷ 
বেশ কিছুদিন ধরেই এই অবৈধ কারোবার চলছিল বলে পুলিশ জানতে পেরেছে ৷ তার সঙ্গে গ্যাস এজেন্সিগুলির যোগসাজোশ রয়েছে নাকি ক্ষতিয়ে দেখছে তদন্তকারিরা ৷ পুলিশ শনিবার বিকেল থেকে পুরো গোডাউন থেকে সমস্ত গ্যাস বাজেয়াপ্ত করেছে।তবে ওই গোডাউনের মালিককে পায়নি পুলিশ ৷

Share this article
click me!