লকডাউনের জেরে চাকরি হারিয়ে ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। ব্যক্তিগত জীবনও সুখের ছিল না। অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর আঘাত সহ্য করতে না পেরেই কি আত্মহত্যা করলেন তরুণী? ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হুগলির উত্তরপাড়ায়।
আরও পড়ুন: বাদুড়িয়ায় লস্কর জঙ্গি তানিয়ার বাড়িতে তল্লাশি এনআইএ-র, উদ্ধার বই ও ডায়েরি
মৃতার নাম অরুন্ধতী দাস। উত্তরপাড়ার ঘড়িবাড়ি আবাসনে থাকতেন বছর বত্রিশের ওই তরুণী। চাকরি করতেন আইটি সেক্টরে। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, লকডাউনের জেরে চাকরি চলে গিয়েছিল অরুন্ধতীর। তারপর থেকে মানসিক অবসাদে ভুগতেন তিনি। ১৪ জুন মুম্বইয়ের নিজের ফ্ল্যাটে গলা দড়িয়ে দিয়ে আত্মহত্যা করেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত। ঘটনার দু'দিনের পর সদ্য প্রয়াত অভিনেতাকে নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও শেয়ার করেন অরুন্ধতী। ক্যাপশন ছিল, 'তুমি রবে নীরবে'।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বাড়িতে মাংস রান্না করে স্নান করতে যান ওই তরুণী। কিন্তু অনেকটা সময় কেটে গেলে বাথরুম থেকে ঈর বেরোননি। ডাকাডাকি করেও কোনও লাভ হয়নি। শেষপর্যন্ত বাথরুমের দরজা ভাঙা হয়, তখন দেখা যায়, সুশান্ত সিং রাজপুতের মতোই গলায় ওড়নার ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছেন উত্তরপাড়ার অরুন্ধতী দাসও! সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় উত্তরপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে। কিন্তু বাঁচানো যায়নি।
আরও পড়ুন: ভোজনরসিক বাঙালির জন্য় সুখবর, বর্ষার শুরুতেই বাজারে চলে এল ইলিশ
লকডাউনে জেরে পেশাগত জীবনে বিপর্যয় নেমেছিল। আর ব্যক্তিগত জীবন? সুখ কিন্তু অধরাই থেকে গিয়েছিল অরুন্ধতীর। বছর ছয়েক আগে বিয়ে হয়েছিল, কিন্তু সংসার টেকেনি। বিবাহ বিচ্ছেদের পর কাজ হারিয়ে হতাশা বেড়েছিল। কিন্তু তা বলে ওই তরুণী একেবারেই চুপচাপ হয়ে গিয়েছিলেন, তা কিন্তু নয়। বৃহস্পতিবার সকালে মায়ের সঙ্গে কথাবার্তা হয়। তখনও মেয়ের আচরণে অস্বাভাবিক কিছু লক্ষ্য করেননি বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহলে কেন এমনটা হল? তদন্তে নেমেছে উত্তরপাড়ার থানার পুলিশ। তবে এই ঘটনার সঙ্গে সুশান্ত সিং রাজপুতের আত্মহত্যার কোনও সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন থানার আইসি সুপ্রকাশ পট্টনায়েক।