সংক্ষিপ্ত
- খাদ্যপ্রিয় বাঙালিদের জন্য সুখবর
- সমুদ্র থেকে রুপোলি শস্য নিয়ে ফিরলেন মৎস্যজীবীরা
- বাজারে চলে এল মরশুমের প্রথম ইলিশ
- খুশির হাওয়ার ব্যবসায়ী মহলে
করোনার আতঙ্ক, দীর্ঘমেয়াদি লকডাউনে দুর্ভোগের শেষ নেই আমজনতার। এসবের মাঝেই বাজারে চলে এল মরশুমের প্রথম ইলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগণার ডায়মন্ড হারবারে প্রায় কুড়ি টন ইলিশ পৌঁছল বৃহস্পতিবার। খুশি মৎস্যজীবী ও আড়তদাররা।
আরও পড়ুন: জঙ্গলে খাবারে আকাল, গ্রামে ঢুকে রেশন দোকানে হানা দিল হাতি
করোনা সতর্কতায় তখন লকডাউন চলছে পুরোদস্তুর। এ রাজ্যের মৎস্যজীবীদের সমুদ্র যাওয়ার ক্ষেত্রে দু'মাসের জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। এখন আর কোনও কড়াকড়ি নেই, ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরছে জনজীবনে। সারা দেশের মতো আনলক প্রক্রিয়া চলছে এ রাজ্যেও।
জানা গিয়েছে, ডায়মন্ড হারবার, কাকদ্বীপ, নামখানা ও ফ্রেজারগঞ্জ থেকে ১৫ জুন হাজার তিনেক ট্রলার রওনা দেয় বঙ্গোপসাগরে। খাবার আবহাওয়ার জন্য বেশ কয়েকদিন মাছ ধরা বন্ধ রাখতে হয় মৎস্যজীবীদের। আবহাওয়ার উন্নতি হতেই জাল ফেলা হয় সমুদ্রে। অবশেষে বৃহস্পতিবার রুপোলি শস্য নিয়ে ফিরল বেশ কয়েকটি ট্রলার। বর্ষার মরশুমে প্রথম ইলিশ মাছ ঢুকল ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্র বাজারে।
আরও পড়ুন: বৃহস্পতিবার অতি ভারী বৃষ্টি রাজ্যের একাধিক জেলায়, বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি
এদিকে আবার ইলিশ মাছের কেনার জন্য ক্রেতাদের ভিড়ে আবার করোনা সংক্রমণ ছড়াবে না তো? সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রেখেছে প্রশাসন। বৃহস্পতিবার ডায়মন্ড হারবারের নগেন্দ্রবাজারে থার্মাল স্ক্রিনিং-এর মাধ্যমে প্রতিটি কর্মীর স্বাস্থ্য পরীক্ষাস করা হয়, জীবাণুমক্ত করা হয় বাজারটিকেও। গোটা প্রক্রিয়াটি তদারকি করেন জেলা মৎস্য দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষ উমাপদ পুরকাইত, ডায়মন্ডহারবার মহকুমা শাসক সুকান্ত সাহা ও ডায়মন্ড হারবারের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক শান্তনু সেন।