গ্লেনারিজে মিলবে না 'সিগনেচার টি'! ১১০ বছরের ইতিহাস ভেঙে দার্জিলিং চা বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত

১১০ বছরের ইতিহাস এই প্রথম দার্জিলিং-এ গিয়ে গ্লেনারিজের 'সিগনেচার টি' পাবেন না পর্যটকরা। কিন্তু পুজোর মুখে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? বারবারই উঠে আসছে এই প্রশ্ন। 
 

Ishanee Dhar | Published : Sep 23, 2022 2:45 PM IST

দার্জিলিং মানেই গ্লেনারিজ, আর গ্লেনারিজ মানেই দার্জিলিং চা। ১১০ বছর ধরে চলে আসছে এই ধারা। কিন্তু এবার থেকে গ্লেনারিজে গেলে আর মিলবে না 'সিগনেচার টি'। দার্জিলিং চা বন্ধের সিদ্ধান্ত নিল গ্লেনারিজ কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি গ্লেনারিজের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমনটাই জানিয়েছেন। 
১১০ বছরের ইতিহাস এই প্রথম দার্জিলিং-এ গিয়ে গ্লেনারিজের 'সিগনেচার টি' পাবেন না পর্যটকরা। কিন্তু পুজোর মুখে কেন এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? বারবারই উঠে আসছে এই প্রশ্ন। 

গ্লেনারিজের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস জানিয়েছেন চা বাগানের শ্রমিকদের বোনাস সম্পর্কিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতায়ই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লেনারিজ।  
যে চা বাগান শ্রমিকদের কঠোর পরিশ্রমে পর্যটকদের দার্জিলিং চা পরিবেষণ করতে পারেন, তাঁদের যতদিন না ন্যায্য বোনাস দেওয়া হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই সিদ্ধান্তেই বহাল থাকবে গ্লেনারিজ বলে জানানো হয়েছে কর্তৃপক্ষের তরফে। 

আরও পড়ুন - ফের সিবিআই-এর আতশকাচের নীচে পার্থ-ঘনিষ্ট, মোনালিসা দাসের দাদা মানস দাসের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিশ

প্রসঙ্গত, পুজোর আগে দার্জিলিং চা শ্রমিকদের ২০ শতাংশ বোনাসের ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু এই বোনাস তাঁরা একবারে পাবে না। দু'দফায় বোনাস দেওয়া হবে চা বাগান শ্রমিকদের। পুজোর আগে মিলবে প্রথম দফার ১৫ শতাংশ বোনাস। বাকি ৫ শতাংশ বোনাস মিলবে কালিপুজোর আগে। 

আরও পড়ুন - 'পার্থ-অনুব্রত দলের পচে যাওয়া অংশ', জহর সরকারের মন্তব্যে অস্বস্তি বাড়ছে ঘাসফুল শিবিরে

সরকারের এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধীতা করেন গ্লেনারিজের কর্ণধার অজয় এডওয়ার্ডস। এই মর্মে শুক্রবার সোশ্যাল মিডিয়ায় এক কাপ চায়ের ছবি পোস্ট করে অজয় এডওয়ার্ডস লেখেন,"শোষণের অবসান ও চা বাগান শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার্থে আমাদের এই পদক্ষেপ। যতদিন পর্যন্ত চা বাগান শ্রমিকরা ২০ শতাংশ বোনাস পাচ্ছেন না, ততদিন পর্যন্ত দার্জিলিং চা পরিবেষণ বন্ধ রাখব আমরা।" তিনি আরও বলেন, "এই স্থানীয় সম্প্রদায়টাই আমাদের ব্যবসার ভিত। তাঁদের কঠোর পরিশ্রমের ফলেই আমরা দিনের পর দিন মানুষের রসন তৃপ্তি করতে পেরেছি। এই শ্রমিকদের সঙ্গে আমরা কাজ করি, একসঙ্গে বাস করি, তাঁদের সার্থরক্ষার্থে এই পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। আমাদের ভাবনা শুধু আমাদের গ্রাহকদের জন্য নয়। বরং যে চাষি মাঠে চা গাছ পোতে, যত্ন দিয়ে বড় করে, যে শ্রমিক চা পাতা বাছে তাঁদের প্রতিও আমাদের সমান কর্তব্য। চা বাগান শ্রমিকদের হিতে আমাদের এই পদক্ষেপে সকলের সহযোগিতা কাম্য।" 

আরও পড়ুন - 'বাড়িতে নজরবন্দি থাকতেও রাজি', আদালতের কাছে 'যে কোনও শর্ত সাপেক্ষে' জামিনের আবেদন পার্থর

 

Share this article
click me!