দীপাবলীর রাতে পূজিতা হন দেবী মহা সরস্বতী, তিনদিন ধরে উৎসব চলে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে

Published : Nov 12, 2020, 03:35 PM ISTUpdated : Nov 12, 2020, 03:36 PM IST
দীপাবলীর রাতে পূজিতা হন দেবী মহা সরস্বতী, তিনদিন ধরে উৎসব চলে বাঁকুড়ার প্রত্যন্ত গ্রামে

সংক্ষিপ্ত

দীপাবলীর রাতে কালিপুজো হয়নি পুজো পান দেবী মহা সরস্বতী তিনদিন ধরে চলে পুজোপাঠ উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামবাসীরা

আট হাতে অস্ত্র সিংহে পিঠে বসে দেবী বধ করছেন অসুরকে। দীপাবলীর রাতে মহা সরস্বতী রূপে পুজো করা হয় দেবী কালিকাকে।  পুজোপাঠ চলে তিনদিন ধরে।  একশোর বছরেরও বেশি পুরানো এই পুজো কেন্দ্র রীতিমতো উৎসব চলে বাঁকুড়ায়।

আরও পড়ুন: লোকাল ট্রেনের সংখ্যা বাড়ছে কি, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজ বৈঠকে রাজ্য-রেল

বাঁকুড়া ১নং ব্লকের  কালাবতী গ্রাম। এই গ্রামের রয়েছে মহাসরস্বতী দেবীর মন্দির। প্রতি বছর দীপান্বিতা অমাবস্যা যখন রাজ্যের সর্বত্রই কালিপুজো হয়, তখন কালাবতী গ্রামে মহা সরস্বতীর আরাধনা মেতে ওঠেন স্থানীয় বাসিন্দারা। কথিত আছে, একসময়ে কলাবতী গ্রামের জমিদার ছিলেন চৌধুরীরা। এই বংশের পূর্ব পুরুষ রামলাল চৌধুরী তীর্থ ভ্রমণে গিয়ে দেবী মহা সরস্বতীর স্বপ্নাদেশ পান। এরপর গ্রামে ফিরে ঘট ও পট প্রতিষ্ঠা করে দেবীর পুজো শুরু করেন তিনি। পরবর্তীকালে মূর্তি গড়ে পূজার প্রচলন হয়। এখন জমিদার প্রথা নেই, কলাবতী গ্রামে থাকেন না চৌধুরী বংশের উত্তরাধিকারীরাও। কিন্তু পুজো বন্ধ হয়নি। প্রাচীন রীতি মেনে দীপাবলী রাতে মহা সরস্বতী পুজোয় আয়োজন করে কালাবতী  সর্বষোলয়ানা কমিটি। তিনদিন ধরে উৎসবে মেতে ওঠেন গ্রামের সকলে।

আরও পড়ুন: শহরে শীতের আমেজ উধাও, আরও বাড়ল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা, ঘূর্ণাবর্তের জেরে ফের বৃষ্টি

গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, কালাবতী গ্রাম থেকে প্রায় তিরিশ মাইল দূরে বড়জোড়া গ্রামের বাসিন্দা সতীশচন্দ্র সূত্রধর মহা সরস্বতীর মূর্তি গড়ার স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে বংশ পরম্পরায় সেই বংশের লোকেরাই মূর্তি গড়েন। দেবী নীলবর্ণা, অষ্টভূজা ও সিংহবাহিনী। দেবীর দুই পাশে থাকেন জয়া ও বিজয়া, আর মাথার উপর ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর।

PREV
click me!

Recommended Stories

পৌষমেলা: শান্তিনিকেতনে পর্যটকদের জন্য সরকারি উদ্যোগে খুলে দেওয়া হল বাউল বিতান
সৌমিকদের গ্রেফতারি তাহলে কেন ছাড় প্যাটিস বিক্রেতাকে? প্রশ্ন তুলে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন শুভেন্দু