আশিষ মণ্ডল, বীরভূম: রোগীদের দেখতে যেতে রাজি না হওয়ার জের। হামলার মুখে পড়লেন হাতুড়ে চিকিৎসক। বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করল দুষ্কৃতীরা। অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন ওই হাতুড়ে চিকিৎসক ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুরে।
আরও পড়ুন: মদের আসরে কয়লা তোলা নিয়ে বচসা, অন্ডালে গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ গেল তৃণমূলকর্মীর
আক্রান্তের নাম অলোক কুমার রায়। বাড়ি, মল্লারপুর থানার কামরাঘাট এলাকায়। একমাত্র ছেলে পড়াশোনার জন্য বাইরে থাকেন। স্ত্রীকে সঙ্গে বাড়িতে থাকেন অলোক। তাঁর দাবি, মঙ্গলবার রাতে মুখে গামছা বেঁধে তিনজন হাজির হয় বাড়ির বাইরে। দরজার ধাক্কায় দেওয়ার পর যখন বাইরে বেরোন, তখন ওই তিনজন বলেন, কিছুটা দূরে কামরাঘাট ব্রিজের উপর মারুতি গাড়িতে রয়েছে এক রোগী। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাঁকে দেখতে যেতে হবে। কিন্তু এত রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে রোগী দেখতে যেতে রাজি হননি ওই হাতুড়ে চিকিৎসকরা। আর তার জেরে ঘটল বিপত্তি।
আরও পড়ুন: পুড়ে ছাই পরপর ৬টি বাড়ি ও ৩টি দোকান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দিশেহারা অবস্থা পরিবারের
আক্রান্ত হাতুড়ে চিকিৎসকের অভিযোগ, রোগী দেখতে যেতে রাজি না হওয়ার প্রথমে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছোঁড়ে দুষ্কৃতীরা। এরপর ভয়ে ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার দেওয়ার পর ছোঁড়া হয় আরও দুটি বোমা। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে জেগে যান আশেপাশের লোকজন। বিপদ বুঝে তখন চম্পট দেয় হামলাকারীরা। অলোক কুমার রায় বলেন, 'যারা হামলা চালিয়েছে, তাদের সকলেই মুখ গামছা বাঁধা ছিল। তবে কথাবার্তা শুনে মনে হচ্ছে মুর্শিদাবাদের লোক। কেউ হয়তো ওদের ভাড়া করে নিয়ে এসেছে।' কিন্তু 'ভাড়াটে গুন্ডা'রা কেন বাড়িতে হামলা করল? ওই হাতুড়ে চিকিৎসকের দাবি, তাঁর কোনও শক্র নেই। বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।