বিমল গুরুং প্রকাশ্যে আসতেই বদলেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক সমীকরণ। কলকাতায় বসে আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে সমর্থন করার কথা জানিয়েছেন বিমল গুরুং। এরপরই, পাহাড়ের রাজনীতি নিয়ে জল্পনা শুরু হয় রাজ্য রাজনীতিতে। এই অবহের মধ্যেই গোটা নভেম্বর মাস জুড়ে দার্জিলিঙের রাজভবনে থাকছেন রাজ্যপাল। সেখান থেকে জানালেন সরকারি আধিকারিকরা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহৃত হলে তা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক।
দার্জিলিঙের রাজভবনে বসে তিনি বলেন, ''সরকারি আধিকারিক যাঁদের জনগণের সেবক বলা হয়, তাঁদের রাজনৈতিক স্বার্থে কাজ করা গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজন্নক। কোনও সরকারি আধিকারিক যদি রাজনৈতিক কার্যকর্তার মতো কাজ করেন, তাহলে তিনি খুব বড় ভুল করছেন। এই বিষয়ে আমার কড়া নজর রয়েছে। অনেকে সঠিক রাস্তায় নেমেছেন। কিন্তু যাঁরা এখনও রাজনৈতিক দলদাস হিসেবে কাজ করছেন তাঁদেরকে ভুগতে হবে। কেননা, ভারতীয় সংবিধান এর অনুমতি দেয় না''। বিস্ফোরক মন্তব্য রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের।
আরও পড়ুন-পুড়ে ছাই পরপর ৬টি বাড়ি ও ৩টি দোকান, ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে দিশেহারা অবস্থা পরিবারের
তিনি আরও বলেন, কোনও সরকারি আধিকারিক, ''সরকারি কার্যালয় যদি রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়। তাহলে কোথায় গণতন্ত্র? তা হলে গণতন্ত্রের পক্ষে তা খুবই বিপজ্জনক। এই জন্য আপনাদের রাজ্যপাল, আপানাদের সাংবিধানিক প্রধান আপনাদের সচেতন করছে। এই ধরনের কাজ করার পদ্ধতি কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা যাবে না। এটা আনার কথা নয়, সরকারি নিয়মেই তা স্পষ্টভাবে লেখা রয়েছে। বলা হয়েছে সরকারি আধিকারিকরা রাজনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ থাকবে। আপনারা জানেন, রাজ্যের অবস্থা সেরকম নয়''।