রণক্ষেত্র হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুর, মন্দিরে ভাঙচুর, রাজ্যপালের টুইটে চড়ল উত্তেজনার পারদ

  • একে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক, তারপরে আবার হিংসা
  • লাগাতার খবরের শিরোনামে হরিশ্চন্দ্রপুর 
  • বাঁশের ব্যারিকেড দেওয়া নিয়ে দুই গ্রামের ঝামেলা
  • যারা জেরে হিংসা ও মন্দিরে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে

একে করোনাভাইরাসের আতঙ্ক। তারপরে এলাকায় শুক্রবার থেকে এখন পর্যন্ত ১০ করোনা রোগী। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকে। এই পরিস্থিতি হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুরে প্রবল হিংসায় ছড়়িয়েছে উত্তেজনা। পরিস্থিতি এখানে এতটাই জটিল যে সোমবার সেখানে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পুলিশ ১৪৪ ধারা লাগু করতে চললেও পরিস্থিতি আদৌ নিয়ন্ত্রণে থাকবে কি না তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এহেন অবস্থায় উত্তেজনার পারদ চড়িয়েছে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের একটি টুইট। যেখানে তিনি হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুরের এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও পুলিশকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন। 

 

Latest Videos

জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুরের চণ্ডীপুরের বাসিন্দারা এলাকা বাঁশের বেড়া দিয়ে এলাকা সিল করে দেয়। কারণ গ্রাম লাগোয়া মানকিবাড়িতেই করোনা আক্রান্ত রোগী মিলেছে।  এই নিয়ে মানকিবাড়ির বাসিন্দারা প্রতিবাদ করে। অভিযোগ, চণ্ডীপুরের বাজারের উপর নির্ভর করে মানকিবাড়ির বাসিন্দারা। কিন্তু, করোনা আতঙ্কে সেই বাজার বন্ধ করে দেয় চণ্ডীপুরের মানুষ। এতে মানকিবাড়ির বাসিন্দাদের সঙ্গে রেষারেষি বাড়তে থাকে। এছাড়াও গত কয়েক দিন ধরে নানা ছোটখাটো ঝামেলা ও তর্কাতর্কি লেগেই থাকছিল মানকিবাড়ি ও চণ্ডীপুরের মানুষের মধ্যে। এরমধ্যে, চণ্ডীপুরের এক হাতুড়ে চিকিৎসক বিশেষ সম্প্রদায়ের রোগী দেখবেন না বলে ঘোষণা করেন বলে অভিযোগ। তিনি নাকি যুক্তি দেন, মানকিবাড়ি-তে করোনা আক্রান্ত রোগী পাওয়া গিয়েছে, তাই তিনি মনে করছেন যাঁরা আজমেঢ় শরিফ ফেরত গ্রামে ঢুকেছেন তাঁদের শরীরে করোনার জীবাণু রয়েছে। সেই কারণে, আপাতত তিনি আজমেঢ় ফেরত রোগী দেখবেন না। এই নিয়ে বাতবিতণ্ডা শুরু হয়।  পুরো বিষয়টি গড়ায় বচসায়। অভিযোগ, রবিবার রাতে একদল মানুষ চড়াও হয় চণ্ডীপুরে। অভিযোগ, হামলাকারীরা সকলেই মানকিবাড়ির। চণ্ডীপুরে থাকা বাঁশের বেড়া উপড়ে ফেলে দেয় হামলাকারীরা। একাধিক গ্রামবাসীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। এমনকী, চণ্ডীপুরের স্থানীয় মন্দিরের বিগ্রহেও ভাঙচুর করে হামলাকারীরা। 

রাতেই এলাকায় পৌঁছয় পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ৬ জনকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়। কিন্তু এরপর থেকেই এলাকায় উত্তেজনা বাড়তে থাকে। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর কথা জানিয়ে দেয়। এমনকী তাঁদের প্রতিনিধিরা ঘটনাস্থলে যাবে বলেও সূত্রের খবর। অন্যদিকে, এহেন ঘটনাকে ঘিরে স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বও ঘটনাস্থলে যাওয়ার পরিকল্পনা আঁটে। সিপিএম ও কংগ্রেসও জানিয়ে দেয় তাঁরা এই ঘটনাস্থলে যাবে পরিস্থিতি পরিদর্শন করতে। 

পরিস্থিতি যখন রাজনৈতিকভাবে জটিল হয়ে উঠছে, ঠিক সেই মুহূর্তে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের টুইট। যা স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় আলাদামাত্রা যোগ করে দিয়েছে বলে মানছে মালদহ জেলার সব রাজনৈতিক দল। পুলিশ আপাতত এলাকার ১৪৪ ধারা প্রয়োগের পথে হাঁটছে বলেই খবর। 

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News