করোনা আতঙ্কে নজরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা, স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি কংগ্রেস বিধায়কের

  • করোনা আতঙ্কে নজরে পরিযায়ী শ্রমিকেরা
  • কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি
  • দাবি তুললেন বাঘমুন্ডি কংগ্রেস বিধায়কের
  • অনেকেই গ্রামে ঢুকতে না দেওয়ার অভিযোগ

Asianet News Bangla | Published : May 10, 2020 6:58 PM IST / Updated: May 11 2020, 12:34 AM IST

ভিনরাজ্য  থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু তাতে বিপদ আরও বাড়বে না তো? কোয়ারেন্টাইনে রেখে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার দাবি তুললেন পুরুলিয়ার বাঘমুন্ডির বিধায়ক ও প্রবীণ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতো। 

আরও পড়ুন: আড়াই লাখ টাকা দিয়ে বাস ভাড়া,তেলেঙ্গানা থেকে বাঁকুড়ায় ফিরল ৬৪ পরিযায়ী শ্রমিক

পেটের দায়ে ভিনরাজ্যে কাজ করতে যেতে হয় তাঁদের। লকডাউনের জেরে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন এ রাজ্যের পরিযায়ী শ্রমিকরা। কাজকর্ম বন্ধ, রোজগার নেই। বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরতে চাইছেন সকলেই। পরিস্থিতি এমনই যে, হাঁটাপথে ফিরতেও পিছুপা হচ্ছেন না অনেকেই। 

জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়া থেকে বহু মানুষ পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে যান ঝাড়খণ্ডে।  লকডাউনের বাজারে হেঁটে পুরুলিয়ায় ঢোকার পর তাঁদের ফের পড়শি রাজ্যে পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। কিন্তু বাংলার শ্রমিকদের ফিরতে বাধা দেয় ঝাড়খণ্ড পুলিশও। শেষপর্যন্ত সেখানকার মুরি স্টেশনের কাছে একটি স্কুলে কোয়ারেন্টাইনে সেন্টারে রাখা হয় পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে ১৮৩ জনকে। এরপর দুই রাজ্য়ের সম্মতিতে তাঁদের নিজের রাজ্য বা জেলায় ফেরার ব্যবস্থা হয়।  বাড়ি ফিরতে পেরে খুশি সকলেই।

আরও পড়ুন: লকডাউনের নিদারুণ পরিণতি, পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরে মৃত্যু পরিযায়ী শ্রমিকের

আরও পড়ুন: অনিয়ন্ত্রিত গোষ্ঠী সংক্রমণ, চন্দনগরের উর্দিবাজারে যুদ্ধের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রশাসন

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরানোর বিষয়ে রাজ্য সরকারের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন পুরুলিয়া বাঘুমন্ডির বিধায়ক নেপাল মাহাতো। প্রশাসনের কাছে তাঁর আর্জি, ধীরে ধীরে আরও অনেক শ্রমিকই বাড়ি ফিরবেন। ফেরার পর তাঁদের যেন অযথা হয়রানি মুখে পড়তে না হয়। করোনা সতর্কতায় সকলকেই কোয়ারেন্টাইনে রেখে স্বাস্থ্য পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা দরকার। কংগ্রেস বিধায়কের দাবি, করোনা আতঙ্কে অনেক পরিযায়ী শ্রমিককেই গ্রামে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না।  পুরুলিয়ায় জেলায় কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও করোনা আক্রান্তের হদিশ মেলেনি। গ্রিন জোনের তকমা হারাতে হবে না? পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে আতঙ্ক বাড়ছে জেলায়। 

Share this article
click me!