উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যপাল, দেখা করলেন সৎপাল রাইয়ের পরিবারের সঙ্গে, দিলেন আর্থিক অনুদান

Published : Dec 27, 2021, 04:49 PM ISTUpdated : Dec 27, 2021, 05:05 PM IST
উত্তরবঙ্গ সফরে রাজ্যপাল, দেখা করলেন সৎপাল রাইয়ের পরিবারের সঙ্গে, দিলেন আর্থিক অনুদান

সংক্ষিপ্ত

প্রয়াত সৎপাল রাইয়ের (Satpal Rai) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজভবনে উপস্থিত ছিলেন সৎপাল রাইয়ের পরিবারের সদস্যরা।  

উত্তরবঙ্গে (North Bengal) সপ্তাহব্যাপী সফরের জন্য রবিবারই (Sunday) সকাল ১০টার সময় শিলিগুড়ি (Siliguri) পৌঁছান রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। এই মুহূর্তে সস্ত্রীক দার্জিলিংয়ে (Darjeeling) রয়েছেন তিনি। আর আজ সকালে ভারতীয় বায়ু সেনার (Indian Air Force) হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো দেশের প্রথম চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ (CDS) জেনারেল বিপিন রাওয়াতের (Bipin Rawat) দেহরক্ষী (Personal Bodyguard) প্রয়াত সৎপাল রাইয়ের (Satpal Rai) পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। রাজভবনে (Raj Bhawan) উপস্থিত ছিলেন সৎপাল রাইয়ের পরিবারের সদস্যরা।  

দিনটা ছিল ৮ ডিসেম্বর। তামিলনাড়ুর সুলুর থেকে কপ্টারে করে ওয়েলিংটন সেনাঘাঁটির দিকে যাচ্ছিলেন সস্ত্রীক বিপিন রাওয়াত। সঙ্গে ছিলেন বায়ুসেনার অন্যান্য আধিকারিকরা। ওই কপ্টারে ছিলেন সৎপাল রাইও। কিন্তু, তাঁদের কারও আর গন্তব্যে পৌঁছনো হয়নি। তার আগেই ১৪ জন আরোহীকে নিয়ে ভেঙে পড়ে চপারটি। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন বিপিন রাওয়াত। চপারে থাকা ১৪ জনেরই মৃত্যু হয়। আর সেই দুর্ঘটনার খবর শিলিগুড়িতে এসে পৌঁছানো মাত্রই বদলে গিয়েছিল সেখানকার আবহাওয়া। সৎপালের মৃত্যুর খবর পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। সৎপালের কফিনবন্দী দেহ তাঁর তাকদার বাড়িতে এসে পৌঁছানোর পরই সেখানে সাধারণ মানুষের ঢল নেমেছিল। তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন স্থানীয়দের পাশাপাশি সেখানকার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সেনা ও পুলিশ আধিকারিকরা।   

 

 

আর এই সপ্তাহব্যাপী উত্তরবঙ্গ সফরে যে তিনি সৎপাল রাইয়ের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তা আগেই জানিয়েছিলেন রাজ্যপাল। সেই মতোই আজ সকালে রাজভবনে হাজির হন সৎপালের পরিবার। তাঁদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন রাজ্যপাল। এমনকী, তাঁর মা ও স্ত্রীর হাতে ৫.৫ লক্ষ টাকার চেকও (cheque) তুলে দেন তিনি। টুইটারে সেকথা জানান রাজ্যপাল নিজেই।  

 

 

পাশাপাশি এই মুহূর্তে স্ত্রীর সঙ্গে দার্জিলিংয়ে জমিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন রাজ্যপাল। আসলে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হল দার্জিলিং। সেখানে শীতকালে মানুষ আর প্রকৃতি যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। আর সেই দার্জিলিংকে আরও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে আরও বেশি করে জোর দিতে হবে বলে জানালেন রাজ্যপাল। যখনই তিনি ছুটি পান তখনই চলে যান দার্জিলিংয়ে। সেখানে কয়েক মাস আগেই পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথে হেলতে-দুলতে চলা টয় ট্রেনে চড়তে দেখা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। আর এবার দার্জিলিংয়ের কনকনে ঠান্ডার মধ্যে বসে স্ত্রীর সঙ্গে চা খেতে দেখা গেল তাঁকে। সকালে উঠে সস্ত্রীক মর্নিং ওয়াকে গিয়েছিলেন তিনি। তারপর একসঙ্গে ধোঁয়া ওঠা চায়ে চুমুক দেন দু'জনে। আর সেই ছবি ট‍ুইটারে পোস্টও করেছেন তিনি। লিখেছেন, "হাঁটার পর দার্জিলিংয়ে চায়ে চুমুক মুগ্ধকর পরিবেশ সঙ্গে। পাহাড়ের রানি দার্জিলিংকে আরও রোমাঞ্চে ভরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। পাহাড়ের রানিকে স্বচ্ছ্ব ভারতের রানি হিসেবে তুলে ধরতে এখানে পরিছন্নতা আরও বাড়ানোর জন্য সাধারণ মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।"

PREV
click me!

Recommended Stories

উত্তুরে হাওয়ায় বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডায় শীতের আমেজ, সপ্তাহান্তে কতটা নামবে পারদ?
২০ ডিসেম্বর বঙ্গে প্রধানমন্ত্রী, কী কী কর্মসূচি থাকছে? দেখুন কী বলছেন শুভেন্দু