ইতিমধ্যেই যে এলাকায় বাঘ রয়েছে সেটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতেও পাহারা দিয়েছেন বনকর্মী, পুলিশ ও গ্রামবাসীরা। রবিবারও দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল ছাগলের টোপ দিয়ে।
টানা পাঁচ দিন ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলতলিতে (Kultali) বাঘের (Tiger) আতঙ্ক ছড়িয়েছে লোকালয়ে। প্রথমে কুলতলির ৫ নম্বর গোপালকাটা গ্রামে বাঘ ঢুকে পড়েছিল। পরে সেই বাঘ আশ্রয় নেয় ডোঙাজোড়া গ্রাম (Village) লাগোয়া পিয়ালি নদীর চরের ম্যানগ্রোভের জঙ্গলে (Forest Area)। টানা কয়েকদিন ধরে লুকোচুরি খেলার পর এই মুহূর্তেও সে সেখানেই রয়েছে। ইতিমধ্যেই দু'জনকে জখম করেছে বাঘ। গত তিনদিন ধরে বাঘ ধরার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বন দফতর (Forest Department)। একাধিকবার বিভিন্নভাবে টোপ দিয়ে খাঁচা পাতা হলেও বাঘ ধরা দেয়নি। তাই সপ্তাহের প্রথম দিন বাঘ ধরার জন্য ঘুম পাড়ানি গুলি করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যেই যে এলাকায় বাঘ রয়েছে সেটিকে ঘিরে রাখা হয়েছে। গতকাল রাতেও পাহারা দিয়েছেন বনকর্মী, পুলিশ ও গ্রামবাসীরা। রবিবারও দুটি খাঁচা পাতা হয়েছিল ছাগলের টোপ দিয়ে। কিন্তু, তাতে ধরা দেয়নি বাঘ। তবে বেশ কয়েকবার নাইলনের জাল ছিঁড়ে বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করে সে। এরপর আজ সকাল থেকেই বাঘ ধরতে ঘুম পাড়ানি গুলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তেমনই অন্যদিকে নাইলনের জাল দিয়ে ঘেরা অংশ ছোট করা হচ্ছে। যাতে সহজেই বাঘের কাছে পৌঁছনো যায়। ইতিমধ্যেই জঙ্গলের একাধিক জায়গায় মাচা তৈরি করা হয়েছে। সেই মাচা থেকেই ঘুম পাড়ানি গুলি ছোড়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনাস্থলে রয়েছেন বন দফতরের আধিকারিক, ডিএফও, কনজারভেটর অফ ফরেস্ট। পাশাপাশি বাঘের উপর কাজ করে এমন সংগঠনের লোকজনও হাজির হন রবিবার সন্ধ্যায়। কিন্তু, কয়েকদিন ধরে অনেক চেষ্টা করেও সেই বাঘটিকে ধরা আর সম্ভব হচ্ছে না। প্রশাসনের নির্দেশ মতো কুলতলির শেখপাড়া, আদিবাসী পাড়া সন্ধ্যার পর থেকে পুরো অন্ধকার করা হচ্ছে। এর জেরে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। বাঘ ধরার জন্য বনকর্মীরাও এই নিকষ অন্ধকারেই চুপ করে বসে থাকছেন। যদি কোনও একটা সময় জালে বাঘ পড়ে।
বৃহস্পতিবার দর্শন গায়েনের চকে ছিল বাঘটি। শুক্রবার ৫ নম্বর গরাণকাটির কাছে চলে যায়। শনিবার বিকালে চলে যায় পিয়ালির জঙ্গলে। জাল দিয়ে জঙ্গল ঘিরছিলেন বনকর্মীরা। তার মধ্যেই গর্জন শুনে এগিয়ে যান গ্রামবাসীরা। বাঘের হানা থেকে বাঁচতে গিয়ে জখম হন এক গ্রামবাসী। এরপর থেকে কুলতলির লোকালয়ের কাছে রয়েছে বাঘটি। অবশেষে তাকে ধরার জন্য ঘুম পাড়ানি গুলির ব্যবস্থা করা হচ্ছে।