ক্রমশ ছোট হচ্ছে শরীর-কমছে উচ্চতা, বিরল রোগে আক্রান্ত ২৮ বছরের মেয়ে

যত দিন যাচ্ছে ততই শরীর ছোট হয়ে যাচ্ছে। এমনই দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে চরম অসহায়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন লরি চালকের একমাত্র মেয়ে পম্পা দাস।

যত দিন যাচ্ছে ততই শরীর ছোট হয়ে যাচ্ছে। এমনই দুরারোগ্য ব্যাধিতে (rare disease) আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসার অভাবে চরম অসহায়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন লরি চালকের একমাত্র মেয়ে পম্পা দাস। প্রথমে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখান থেকে রেফার করে দেওয়া হয় কলকাতায়। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিয়েছেন ১০ টা ইঞ্জেকশন করতে হবে পম্পাকে। প্রতি ইঞ্জেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা করে। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ থাকায় চিকিৎসা বন্ধ হয়ে পড়ে রয়েছেন পম্পা। 

পম্পার পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা চিকিৎসার জন্য আর্থিক সহায়তার আবেদন করেছেন। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পম্পার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন সেই দিকেই তাকিয়ে আছেন গুরুতর অসুস্থ পম্পার পরিবার।  রায়গঞ্জ ব্লকের ৮ নম্বর বাহিন গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর সোহারই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় লরি চালক রতন দাস ও গৃহবধূ কল্পনা দাসের একমাত্র মেয়ে ২৮ বছরের পম্পা দাস গুরুতর অসুস্থ। 

Latest Videos

চার-পাঁচ বছর আগেও পম্পার উচ্চতা ছিল ৪ ফিট ১০ ইঞ্চি। কিন্তু কয়েক বছরের মধ্যেই এক অদ্ভুত জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে পম্পার উচ্চতা এসে দাঁড়িয়েছে ৩ ফিট ৮ ইঞ্চি। ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগের নাম "সাইকোপিনিয়া"।এই রোগে শরীরের মাসল ও হারের বৃদ্ধি হ্রাস ঘটতে থাকে৷ দ্রুত চিকিৎসা না করলে ধীরে ধীরে ক্ষয়িষ্ণু হয়ে যায় শরীর। প্রায় দিনমজুরি করা পেশায় লরি চালক রতন দাস মেয়ের চিকিৎসার জন্য প্রথমে যান শিলিগুড়ি।  কিন্তু শিলিগুড়ি থেকে চিকিৎসকেরা রেফার করে দেন কলকাতায়। 

পম্পার এই দূরারোগ্য ব্যাধি নিরাময়ে শিলিগুড়ির চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন পম্পাকে ১০টি ইঞ্জেকশন করতে হবে। কিন্তু প্রতিটি ইঞ্জেকশনের দাম ১০ হাজার টাকা। এই বিপুল অর্থ ব্যায় করে পম্পার চিকিৎসা চালানো লরি চালক রতন দাসের পক্ষে সম্ভব নয়। নিজের একমাত্র মেয়ে দিনের পর দিন চোখের সামনে ছোট হয়ে যাচ্ছে। এমনই দুরারোগ্য ব্যাধি সারাতে প্রয়োজন প্রচুর অর্থের যার জোগান নেই তাঁদের কাছে। 

তাই পম্পার পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা আবেদন করেছেন সাধারন মানুষের কাছে। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন পম্পার চিকিৎসার খরচ জোগাতে আসেন তাহলে পম্পা হয়তো তাঁর সুস্থ জীবন ফিরে পাবে। পাশাপাশি সরকারের কাছেও তাঁদের আবেদন চিকিৎসার খরচ এবং ভাতার ব্যাবস্থা করে দেওয়ার। এখন দেখার অসুস্থ পম্পার চিকিৎসার জন্য এগিয়ে আসেন কিনা আর সেই আশাতেই দিন গুনছেন রায়গঞ্জের সোহারই গ্রামের বাসিন্দা অসুস্থ পম্পা ও তাঁর পরিবার।

Share this article
click me!

Latest Videos

Viral Video! আবাসের টাকা ঢুকতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাটমানি চাইছেন TMC কর্মী | Murshidabad Latest News
প্রেমের আড়ালে লক্ষাধিক টাকা লুঠ! প্রতারণার নেপথ্যে চাঞ্চল্যকর কাহিনি | South 24 Parganas News Today
‘প্রণামের সংস্কৃতি ভুলে যাচ্ছে বাঙালি’ বিস্ফোরক মন্তব্য Dilip Ghosh-এর, দেখুন কী বলছেন | Dilip Ghosh
'কুমিল্লা ছেড়ে চলে যা' কুমিল্লায় বৃদ্ধ মুক্তিযোদ্ধার গলায় জুতোর মালা! | Bangladesh News |
শীতের রাতে যমুনার আতঙ্ক! একের পর এক জঙ্গল দাপিয়ে বেড়াচ্ছে বাঘিনী | Bandwan Tiger News