ইচ্ছামতো সময়ে অফিস যাওয়ার দিন শেষ, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে চালু স্বয়ংক্রিয় বায়োমেট্রিক সার্ভিস

Published : Aug 10, 2021, 12:52 PM IST
ইচ্ছামতো সময়ে অফিস যাওয়ার দিন শেষ, রাজ্যের বিভিন্ন দফতরে চালু স্বয়ংক্রিয় বায়োমেট্রিক সার্ভিস

সংক্ষিপ্ত

মুর্শিদাবাদ জুড়ে সরকারি পঞ্চায়েত স্তরে কাজে সরকারি কর্মীদের গতি আনার চেষ্টা। জেলার ২৫০টি পঞ্চায়েতে একসঙ্গে আধুনিক বায়োমেট্রিক হাজিরার ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হল।

মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জুড়ে সরকারি পঞ্চায়েত স্তরে (Panchayet) কাজে সরকারি কর্মীদের গতি আনার চেষ্টা। জেলার ২৫০টি পঞ্চায়েতে একসঙ্গে আধুনিক বায়োমেট্রিক হাজিরার (Automatic biometric service) ব্যবস্থা করার উদ্যোগ নেওয়া হল। এজন্য মঙ্গলবার জেলার উচ্চ প্রশাসনিক আধিকারিকেরা একটি বৈঠকে মিলিত হন। যেখানে একাধিক 'ইন্টারঅ্যাকটিভ বায়োমেট্রিক্স সার্ভিস' চালুর মধ্যে দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। 

বছর দেড়েক আগে জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে চালু হয়েছিল বায়োমেট্রিক হাজিরা। ফলে দপ্তরে ঢোকার আগে ও অফিস ছেড়ে যাওয়ার সময় সরকারি কর্মীদের আঙুলের ছাপ দিয়ে হাজিরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল । অভিযোগ সেই যন্ত্রে আর হাত পড়েনা কর্মীদের, তার বদলে বহাল রয়েছে সাবেকি হাজিরা খাতা। 

এই ব্যাপারে এদিন বৈঠক শেষে অতিরিক্ত জেলা শাসক (জেলা পরিষদ ) শুভাশিস বেইজ সংবাদমাধ্যমের উদ্দেশ্যে বলেন বলেন, “কিছু ত্রুটির কারনে বেশির ভাগ পঞ্চায়েতে বায়োমেট্রিক হাজিরা বন্ধ হয়ে আছে। তাই একসঙ্গে সবকটি পঞ্চায়েতের জেলাজুড়ে কিভাবে তৃতীয় দিনের আগে সরকারি কর্মীদের মাধ্যমে কাজের গতি বাড়াতে কিভাবে বায়োমেট্রিক সিস্টেম চালু করা যায় তার জন্য বিশেষজ্ঞের টিম তৈরি করা হচ্ছে"। 

লক ডাউন শিথিল হতেই রাজ্যের পাশাপাশি জেলাতেও একাধিক উন্নয়ন কাজ শুরু হয়।ওই কাজে গতি আনতে দপ্তরের কর্মীদের হাজিরার প্রতি জোর দেন জেলা প্রশাসন। সেই কারনে কর্পোরেট ধাঁচে কর্মীদের হাজিরার প্রতি নজর রাখতে বসান হয় বায়োমেট্রিক মেশিন। এর ফলে জেলায় বসেই প্রশাসনিক কর্তা জানতে পারবেন কোন পঞ্চায়েতের কর্মী কখন অফিসে  এলেন আবার কখন ফিরলেন। 

বায়োমেট্রিক মেশিন বসানোর মূল লক্ষ ছিল পঞ্চায়েত স্তরেও কর্মীদের মধ্যে কর্মসংস্কৃতি গড়ে তোলা, যাতে সময়ের কাজ সময়ে শেষ করা যায় এবং প্রত্যন্ত গ্রামের মানুষ পঞ্চায়েতের কাজে এসে যাতে অকারণে হয়রান না হন। ওই লক্ষ্যে জেলার অধিকাংশ পঞ্চায়েতে অত্যাধুনিক হাজিরার মেশিন বসে , এমন কি পঞ্চায়েত সমিতিতেও বায়োমেট্রিক হাজিরার রেওয়াজ চালু করে দেওয়া হয়। 

মুসলিম মহিলাদের অন্য ধর্মে বিয়ে করা পাপ, ফতোয়া মুসলিম ল বোর্ডের

দেবতার মূর্তি গুঁড়িয়ে তছনছ মন্দির, পাকিস্তানে উন্মত্ত জনতার তান্ডবে হতবাক গোটা বিশ্ব

এই ব্যাপারে এদিন লালগোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অজয় ঘোষ বলেন , “ বায়োমেট্রিক পদ্ধতি চালু হওয়ার ফলে কর্মীদের মধ্যে সঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানোর প্রবণতা তৈরী হয়েছিল। কিন্তু করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সব কিছু্র সঙ্গে বায়োমেট্রিকের হাজিরাও কেমন যেন উধাও হয়ে গেল।” বায়োমেট্রিক হাজিরার ফলে কর্মীদের হাজিরার ক্ষেত্রে যেমন স্বচ্ছতা থাকে, তেমনই কর্তৃপক্ষও সহজেই বুঝতে পারেন অফিসে উপস্থিতির হার। 

তবে শুধু দ্বিতীয় লক ডাউন নয় , গ্রামীন স্তরে ঠিক মত ইন্টারনেট পরিষেবা চালু না থাকার কারনে এবং অধিকাংশ সময় সার্ভার ডাউন থাকার জন্য শেষ পর্যন্ত পঞ্চায়েতে বায়োমেট্রিক হাজিরা কার্যকর রাখা যায়নি বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েতের একাধিক নির্বাহী আধিকারিক ।

PREV
click me!

Recommended Stories

LIVE NEWS UPDATE: IndiGo উড়ান পরিষেবায় অচলাবস্থা অব্যাহত, সমস্যায় যাত্রীরা
রাজ্যজুড়ে আরও বাড়বে শীতের আমেজ, উইকএন্ডে কেমন থাকবে আবহাওয়া? রইল আবহাওয়ার বিরাট আপডেট