হাঁসখালিকাণ্ডে ডিএনএ-কেই হাতিয়ার করল সিবিআই, ধৃত ও নির্যাতিতার পরিবারের নমুনা যাবে দিল্লিতে

Published : Apr 17, 2022, 01:36 PM ISTUpdated : Apr 17, 2022, 01:42 PM IST
হাঁসখালিকাণ্ডে ডিএনএ-কেই হাতিয়ার করল সিবিআই, ধৃত ও নির্যাতিতার পরিবারের নমুনা যাবে দিল্লিতে

সংক্ষিপ্ত

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালি -সহ তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। সূত্রের খবর নির্যাতিতার মা-বাবারও ডিএনএ পরীক্ষার নুমনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই।

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালি -সহ তিনজনের ডিএনএ পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করল সিবিআই। সূত্রের খবর নির্যাতিতার মা-বাবারও ডিএনএ পরীক্ষার নুমনা সংগ্রহ করেছে সিবিআই। হাঁসখালি ধর্ষণ খুনের মামলায় পুলিশ যাদের বয়ান নিয়েছিল, এবার তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। মূলত গণধর্ষণ প্রমাণে ডিএনএ টেস্টের রিপোর্টকে হাতিয়ার ধরে এগোচ্ছে সিবিআই। 

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য শনিবার রাতে , সোহেল , প্রভাকর, রঞ্জিতকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে রক্তের নুমনা সংগ্রহ করা হয়। শনিবার দুপুরে হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ডিএনএ টেস্টের জন্য নির্যাতিতার বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। ডিএনএ-র এই নমুনা পাঠানো হবে দিল্লিতে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, র্কতের নমুনা থেকে মেলা ডিএনএ-র সঙ্গে বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলে গেলে ওই বাড়িতে কিশোরির উপস্থিতি প্রমাণ হয়ে যাবে। কারণ তদন্ত শুরুর পরেই ধৃতের বাড়ির তোষকে রক্তের দাগ মিলেছে। 

আরও পড়ুন, নাবালিকাকে বাড়িতে ডেকে গোপনাঙ্গ স্পর্শ প্রতিবেশীর, হাঁসখালির পর উত্তাল এবার একাবালপুর

আরও পড়ুন, 'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে রেপ করব', হাঁসখালিকাণ্ডে সিবিআই-র কাছে এল ভয়াবহ তথ্য

উল্লেখ্য হাসখালি ধর্ষণকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছে রঞ্জিত মল্লিক। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল সে। যদিও এই ঘটনায় প্রথমেই গ্রেফতার হয়েছে তৃণমূল নেতার ছেলে ব্রজ ওরফে সোহেল গয়ালি -সহ দুই জন।মূলত বিছানার তোষকে মেলা রক্তের মধ্যে সিমেন স্যাম্পেল রয়েছে কিনা ফরেনসিক পরীক্ষার মাধ্যমে তা জানা সম্ভব। রক্তের সঙ্গে একাধিক ব্যক্তির সিমেন স্যাম্পেল থাকলেও তাও আলাদা করে চিহ্নিত করা সম্ভব। এক্ষেত্রে তোষকে মেলা  রক্তের মধ্য়ে সিমেনের অস্তিত্ব পাওয়া গেলে সেই সিমেনের ডিএনএ-র সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে অভিযুক্তদের ডিএনএ। সেই ডিএনএ মিলে গেলে গণধর্ষণ ঘটনা প্রমাণ করা অনেকটাই সহজ হবে বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

উল্লেখ্য, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস।  রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা।  এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।

আরও পড়ুন, শান্তিকেতনে গণধর্ষণের শিকার আদিবাসী নাবালিকা, ধর্ষণের চেষ্টায় গায়ে আগুন ময়নাগুড়ির নির্যাতিতার

এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।   ঘটনার পরেই   শনিবার হাঁসখালি থানায় নাবালিকার পরিবারের তরফে অভিযোগে জানানো হয়। মেয়ের মৃত্যুর পরে বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে জোর করে দাহ করে দেওয়া হয়েছে বলে ভয়াবহ অভিযোগ ওঠে। গত রবিবার তাঁকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। 

 

PREV
click me!

Recommended Stories

Dilip Ghosh: বাংলায় ‘বাবরি মসজিদ’! বিজেপির দিলীপ হুমায়ুনকে দিলেন চরম উপদেশ
১৮০ ডিগ্রি ঘুরে গেলেন হুমায়ুন কবীর, জানিয়ে দিলেন 'কেন' তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন না