সংক্ষিপ্ত

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালির বাড়িতে গিয়েছেন ডিআইজি অখিলেশ সিং। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের সামনেই ভেঙে পড়েন তাঁদের এক প্রতিবেশি মহিলা।

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিযুক্ত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালির বাড়িতে গিয়েছেন ডিআইজি অখিলেশ সিং। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারের সামনেই ভেঙে পড়েন তাঁদের এক প্রতিবেশি মহিলা। হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালি এবং সমরেন্দ্র গয়ালির ভয়ে ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তার কেউ, বলে অভিযোগ করেন তিনি। ডিআইজি অখিলেশের সামনে তিনি হাতজোড় করে বলেন, আমাদের ছেলেরা ঘর থেকে রাতে বের হতে পারে না। আমরা শান্তিতে বাঁচতে চাই। থানায় গিয়ে অভিযোগ করলে অভিযোগ নেয় না বলে জানিয়েছেন ওই মহিলা।

'আমাকে বলেছিল, ধর ওকে, রেপ করব'

নির্যাতিতার এক প্রতিবেশি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, তাঁকেও ধর্ষণ করার হুমকি দিয়েছিল অভিযুক্ত ব্রজ গয়ালির বাবা। ওই মহিলা প্রতিবেশির অভিযোগ, ওরা একটা গুণ্ডা। ওদের ভয়ে এলাকা কাঁপে। আমি তো ঘর থেকে বের হই না। আমার সঙ্গে বহু কিছু করেছে। যেমন ছেলে রেপ করেছে, তেমন আমাকে বলেছিল, ধর ওকে, রেপ করব।ওরা বাব ছেলে এরকমই। ১৫ বছর ধরে সবার থেকে তোলা খেয়ে পেট মোটা করেছে। কেউ ওর প্রতিবাদ করে না। আমি ওর প্রতিবাদ করেছি। আমাকে যখন মারছিল, আমি ওকে পিটিয়েছিলাম। 

আরও পড়ুন, 'বুকে বন্দুক ঠেকিয়ে মেয়ের মৃতদেহ তুলে পোড়ানো হয়েছে', হাঁসখালিকাণ্ডে বিস্ফোরক দাবি পরিবারের

অভিযুক্তের বাড়ির তোশক থেকে রক্তের দাগ পেয়েছেন অফিসারেরা

হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে  বৃহস্পতিবার  অভিযুক্ত সোহেল ওরফে ব্রজ গয়ালির বাড়ি যায় সিবিআই। তালা ভেঙে বাড়ির ভিতরে ঢোকেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসারেরা।অভিযুক্তের বাড়ি থেকে নতুন তথ্য সংগ্রহ করেন তদন্তকারীর দল। সূত্রের খবর, অভিযুক্তের বাড়ির তোশক থেকে রক্তের দাগ পেয়েছেন অফিসারেরা। সূত্রে খবর, ৪ এপ্রিল রাতে জন্মদিনের পার্টিতে ডাকা হয়েছিল ওই নাবালিকাকে। এরপর জন্মদিনে ডেকে তাকে মদ্যপান করায় ব্রজগোপাল। এরপরেই সে এবং তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে। যৌন নির্যাতন এতটাই হয়েছিল যে, নির্যাতিতার গোপনাঙ্গ থেকে ব্যাপক রক্তপাত ঘটে। রক্তে ভিজে যায় অন্তর্বাস।  

আরও পড়ুন, ধৃত সত্যবানের হোটেল থেকেই কি তপন কান্দু খুনের ষড়যন্ত্র ? বিস্ফোরক তথ্যের তদন্তে সিবিআই

রাণাঘাট আদালতে তোলা হয়েছে অভিযুক্তদের

রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। অভিযোগ এরপরেই অসুস্থ হয়ে পড়তে শুরু করে ওই নাবালিকা।  এদিকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। এরপরেই অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।এদিকে নৃশংসঘটনা এখানেই শেষ হয়নি। অপরাধ ঢাকতে দেহ সৎকারে বাধ্য করে বজ্রগোপাল। তাই মাঝে কয়েকদিন কেউ কিছু জানতে পারেনি।  অন্যদিকে, ইতিমধ্য়েই রাণাঘাট আদালতে তোলা হয়েছে হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডের অভিযুক্তদের। তাঁদের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছেন বিচারক।

আরও পড়ুন, হাঁসখালি গণধর্ষণকাণ্ডে কেস ডাইরি হাতে নিল সিবিআই, আজই নির্যাতিতার বাড়িতে প্রতিনিধি দল