দিদির অফিস থেকে ফোন আসবেই, অপেক্ষায় চাঁপদানির অসহায় মা

Published : Sep 08, 2019, 06:52 PM ISTUpdated : Sep 08, 2019, 11:47 PM IST
দিদির অফিস থেকে ফোন আসবেই, অপেক্ষায় চাঁপদানির অসহায় মা

সংক্ষিপ্ত

হুগলির চাঁপদানির বাসিন্দা মুনমুন সিংহ পেটের টিউমার অস্ত্রোপচার করাতে হবে মূক ও বধির যুবতীর সাহায্যের জন্য 'দিদিকে বলো'- তে ফোন যুবতীর মায়ের সাহায্যের আশায় দিন গুনছে দরিদ্র পরিবার

উত্তম দত্ত, হুগলি: দিদির অফিসের ফোনের অপেক্ষায় দিন গুনছেন এক হতদরিদ্র  মা। কারণ তাঁর মূক বধির মেয়ের জীবনটাই হয়তো নির্ভর করছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের একটি ফোনের উপরে। কবে সেই ফোন আসবে, আপাতত সেই অপেক্ষাতেই রয়েছেন হুগলির চাঁপদানির বাসিন্দা কালী সিংহ। 

কালীদেবীর স্বামী গোপাল সিংহ পেশায় স্থানীয় একটি জুট মিলের শ্রমিক। বৃদ্ধ দম্পতির বড় মেয়ে মুনমুন জন্ম থেকেই মূক এবং বধির। মেয়েকে বড় করে এক প্রতিবন্ধীর সঙ্গেই বিয়ে দিয়েছিলেন ওই দম্পতি। কিন্তু বিয়ের কয়েক মাস পর থেকেই পেটে অসহ্য যন্ত্রণা শুরু হয় মুনমুনের। বাপের বাড়ি চলে আসেন মুনমুন। চিকিৎসকরা জানান, ওই তরুণীর পেটে একটি টিউমার রয়েছে। নিজেদের প্রায় সমস্ত সঞ্চয় এবং ধার দেনা করে গত অগাস্ট মাসে চন্দন নগরের একটি নার্সিং হোমে মুনমুনের অস্ত্রোপচার হয়।  কিন্তু সেখানকার চিকিৎসকরা পুরো টিউমারটি বাদ দিতে ব্যর্থ হন। দিন কয়েক পর থেকে আবার সেই যন্ত্রণা শুরু হয়। 

আরও পড়ুন- বিজেপি নেতাদের হাতে দিদিকে বলোর কার্ড, আজব কাণ্ড রিষড়া পৌরসভায়

আরও পড়ুন- 'জয় শ্রীরাম' নিয়ে প্য়ারোডি, 'দিদিকে বলো,হরি বলো' বাবুলের

স্থানীয় চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অবিলম্বে ওই যুবতীর পেটে স্টেন্ট বসাতে হবে। চন্দননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তাঁকে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে রেফার করে দেওয়া হয়। কিন্তু সেখানে গিয়েও মেয়েকে ভর্তি করাতে পারেননি কালী এবং গোপাল সিংহ। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, টিউমারটি বাড়তে বাড়তে মুনমুনের কিডনি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। ফলে ঠিকমতো বাথরুমেও যেতে পারছে না সে। 

মুনমুনের মা কালীদেবী জানিয়েছেন, চাঁপদানি পুরসভার চেয়ারম্যান সুরেশ মিশ্র প্রচুর চেষ্টা করছেন। আর্থিক সাহায্য করেছেন,  যতবার কলকাতায় যাওয়া হয়েছে বিনামূল্যে অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থাও করে দিয়েছেন। কিন্তু কলকাতার কোনও সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো যায়নি অসুস্থ যুবতীকে। তাই বাধ্য হয়ে ' দিদিকে বলো'-র  হেল্প লাইনে ফোন করেন কালীদেবী। বৃহস্পতিবারের পর ফের শনিবার ফোন করে অবশেষে  লাইনও পেয়েছেন। হেল্পলাইন নম্বরে নিজের সমস্যা খুলে বলেছেন তিনি। 

বৃদ্ধার দাবি, তাঁর কাছ থেকে সমস্ত তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। কিন্তু রবিবার পর্যন্ত পাল্টা কোনও ফোন আসেনি। কালীদেবীর আশা, ঠিক দিদির অফিসের ফোনটা এবার আসবে। থেকে থেকেই যে ব্যথায় কাহিল হয়ে পড়ছেন তাঁর মেয়ে। মুনমুন হয়তো মুখে কিছু বলতে পারেন না। কিন্তু মায়ের মন মেয়ের যন্ত্রণা বুঝতে পারে। ব্যথার ট্যাবলেট আর ইনজেকশন দিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামলাতে হচ্ছে।
 

PREV
click me!

Recommended Stories

Suvendu Adhikari: ‘এমন খেলা হয়েছে পিসি বাড়ি পালিয়েছেন!’ যুবভারতীর বিশৃঙ্খলা নিয়ে বিস্ফোরক শুভেন্দু
Today live News: India vs South Africa 3rd T20 - ধর্মশালায় ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা তৃতীয় টি-টোয়েন্টি, প্রথম একাদশে কারা সুযোগ পেতে পারেন?