বাংলাদেশী হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন শুভেন্দু।
বাংলাদেশে(Bangladesh) সনাতনী ধর্মাবলম্বী(Hindu) মানুষদের উপর যেভাবে অত্যাচার করা হয়েছে তা খুবই নিন্দনীয়। বাংলাদেশী হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়ে সোচ্চার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা(Opposition Leader) শুভেন্দু অধিকারী(Shuvendu Adhikari)। বৃহস্পতিবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে পদক্ষেপ করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি বাংলাদেশে যেভাবে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে, তাঁর প্রতিকার একমাত্র করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী মোদী যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পাশে থাকেন। সেই সাথে সকল দেশবাসীকে বাংলাদেশের ঘটনার বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার মহিষাদলের গুড়িয়া বাড়ির পুজোয় উপস্থিত হয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে একথা জানান শুভেন্দু।
এদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে একাধিক প্যান্ডেলে চলেছে দুষ্কৃতী তান্ডব। দুর্গাপুজোর প্যান্ডেল এবং প্রতিমার ওপর হামলার একাধিক ঘটনার খবর মিলেছে বাংলাদেশ থেকে। গত ২৪ ঘণ্টায় সেদেশের বিভিন্ন স্থানে দুর্গা প্রতিমা ভাঙচুরের অন্তত তিনটি ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। হামলায় মারা গিয়েছেন তিনজন। গোটা ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে সেদেশের হিন্দু কাউন্সিল। নিন্দার ঝড় উঠেছে সব মহলেই।
কুমিল্লার নানুয়া দীঘিতে সবচেয়ে খারাপ ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার সন্ধ্যায়। সেখানে একটি দুর্গা পুজো প্যান্ডেলে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা। দেবী দুর্গার পাদদেশে পবিত্র কোরান রাখা হয়েছে, এমন খবর ছড়িয়ে পড়ার পরেই হামলা চলে। জানা যায় প্রতিমাটি একটি পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়। কোরান রাখার খবর ছড়ায় হোয়াটসঅ্যাপ। উস্কানিমূলক মন্তব্য ও ছবি শেয়ার হতে থাকে। এরপরেই পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে।
পুলিশ গিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি বলে দাবি স্থানীয়দের। এদিকে পুলিশ আসার আগেই প্রতিমা ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এই গোটা ঘটনার ছবি শেয়ার করে বাংলাদেশ হিন্দু ইউনিটি কাউন্সিল। তারা টুইট করে গোটা ঘটনা জানায়।