গ্রাম বাংলার পুজো মানে ঢাকের বাজনা, আর ছোট্ট একটা মণ্ডপে দেবীর আরাধনা। তবে পুরুলিয়ার হুড়া থানার প্রান্তিক লক্ষণপুর গ্রামে দেখা গেল এক অন্যরকম চিত্র।
করোনার কারণে তৈরি হয়েছে আর্থিক সমস্যা(Financial Crisis)। শহরে থিমের পুজো(Theme) দেখতে যাওয়ার সামর্থ্য নেই। প্রান্তিক গ্রামের(Village) মানুষের কথা ভেবে গ্রামের শিল্পী(Local Artists) দিয়ে বানানো হলো মূর্তি(Durga Idol)। তৈরি করা হলে মন্ডপ। আগামী বছর আরো বড় করে থিমের পুজো করার ভাবনা গ্রামবাসীদের।
থিমের পুজো দেখতে প্রান্তিক গ্রামের মানুষ সবসময় হেঁটে চলে শহরের পানে। শুধুমাত্র থিমের আস্বাদ পাওয়ার জন্য মানুষ এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত ঘুরে বেড়ায়। অন্যদিকে গ্রাম বাংলার পুজো মানে ঢাকের বাজনা, আর ছোট্ট একটা মণ্ডপে দেবীর আরাধনা। তবে পুরুলিয়ার হুড়া থানার প্রান্তিক লক্ষণপুর গ্রামে দেখা গেল এক অন্যরকম চিত্র।
"গোপাল জিউ সার্ব্বজনীন দুর্গাপূজা" কমিটি এবছর প্রথম বর্ষে থিমের ভাবনা নিয়ে পুজো শুরু করলেন। করোনা আবহে গ্রামের মানুষকে যাতে অন্য জায়গায় থিমের পুজো দেখতে যেতে না হয়, তার জন্য এক গ্রামের মধ্যেই শুরু হলো মোটামুটি থিমের পুজো। সঙ্গে চার দিনব্যাপী গ্রামের মানুষদের নিয়েই চলল বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
পুজো কমিটির সদস্য সৌমেন চৌধুরী জানান, শুধুমাত্র গ্রামের মধ্যে যাতে থিমের উপস্থাপন করে মানুষের মনে আনন্দ দেওয়া যায়, সেই লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ। দেবীর আরাধনা করে পৃথিবীবাসীকে জরা ব্যাধি রোগ থেকে মুক্ত করার জন্যই লক্ষণপুর গ্রামে প্রথম আয়োজিত হল দুর্গাপুজো।