জল বাড়ছে গঙ্গায়, রাক্ষুসে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবি

Published : Aug 12, 2021, 03:14 PM IST
জল বাড়ছে গঙ্গায়, রাক্ষুসে ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে গ্রামের পর গ্রাম, দেখুন ভয়ঙ্কর ছবি

সংক্ষিপ্ত

জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে গঙ্গায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায়।

বুধবার গভীর রাত থেকে মুষলধারে বৃষ্টি চলছে। ফলে জলস্তর (water level) ক্রমশ বাড়ছে গঙ্গায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ভাঙন (Ganges erosion) শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর মহকুমা এলাকায়। গঙ্গার ভাঙনে তলিয়ে যাচ্ছে বাড়ি-জমি, সর্বস্ব। সব হারিয়ে কার্যত পথে বসেছেন এলাকার মানুষ। 

মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমার অন্তর্গত শিবপুর, হীরা নন্দপুর,ধুসরিপাড়া সহ একাধিক এলাকায় পাড় ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। প্রায় ছোট-বড় মিলিয়ে ২০টি  বাড়ি, দোকান ঘর ও কয়েকশো বিঘা চাষের জমি তলিয়ে গেল গঙ্গার গ্রাসে। ঘটনার পরই অতিরিক্ত সর্তকতা নিয়ে ওই এলাকার শতাধিক পরিবারকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করে স্থানীয় প্রশাসন। যে কোনও মুহূর্তে স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ও নদীগর্ভে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

স্বাধীনতা দিবসের আগে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের জন্য উপহার, এল ১০ কোটি টাকার মার্সিডিজ গাড়ি

সতীত্ব পরীক্ষায় পাশ করে তবেই যোগ সেনাবাহিনীতে, মহিলা জওয়ানদের জন্য বিতর্কিত নিয়ম বাতিল

বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এসবিআই সহ কয়েকটি ব্যাংকের লক্ষাধিক অ্যাকাউন্ট, আপনারটি এই তালিকায় নেই

প্রশাসনিক কর্তাদের যথা সময়ে দেখা না মেলায় এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। ফলে মানুষজন এদিন গণবিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন প্রশাসন দিন কয়েক আগেও যদি উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে, স্কুল বাড়ি, মন্দির আর এত মানুষের বাড়ি গঙ্গা গর্ভে তলিয়ে যেত না। 

বাসিন্দাদের অভিযোগ এখনও প্রশাসনের তরফ থেকে উপযুক্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত কোথায় গিয়ে তাঁদের দাঁড়াতে হবে, বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বিউটি হালদার অবশ্য আশ্বাস দিচ্ছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন সামান্য ক্ষমতার মধ্যে থেকে চেষ্টা করা হচ্ছে ভাঙ্গন আক্রান্ত মানুষদের পাশে দাঁড়াতে"।

জানা গিয়েছে, ধুসরিপাড়া‌য় শতাধিক পরিবার বসবাস করে। রাত প্রায় আড়াইটে নাগাদ থেকে ভয়াবহ আকার নিতে শুরু করে গঙ্গার ভাঙন। বৃহস্পতিবার তা চরমে গিয়ে পৌঁছয়। আতঙ্কিত বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে পালাতে শুরু করেন। ভাঙ্গন আক্রান্ত বাসিন্দা বিক্রম মণ্ডল বলেন, রাতে আচমকা ভাঙন শুরু হল। ঘর থেকে কিছুই বের করতে পারলাম না। চোখের সামনে সব চলে গেল। এখন আমাদের কোথাও যাওয়ার নেই। বাচ্চাদের নিয়ে কোথায় যাব, ওদের খাবারও দিতে পারিনি"।

PREV
click me!

Recommended Stories

বৃহস্পতিবারই শেষ এসআইআর ফর্ম ফিলাপের সময়সীমা, রাজ্যে ভুয়ো ভোটার কত?
Lakshmir Bhandar: দারুণ খবর! জানুয়ারি থেকে ২৫০০ টাকা হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার? ইঙ্গিত সরকার পক্ষের