বিপদসীমা পার করে মানিকচকে ঢুকল গঙ্গার জল, 'খোঁজ নেয়নি প্রশাসন', অভিযোগ দুর্গতদের


বিপদসীমা পার করে চূড়ান্ত বিপদসীমার ছুঁইয়ে বইছে গঙ্গা নদী। প্রবল জলস্তর বৃদ্ধি হতেই মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকল গঙ্গা নদীর জল।

Asianet News Bangla | Published : Aug 12, 2021 9:17 AM IST / Updated: Aug 12 2021, 02:54 PM IST


বিপদসীমা পার করে চূড়ান্ত বিপদসীমার ছুঁইয়ে বইছে গঙ্গা নদী। প্রবল জলস্তর বৃদ্ধি হতেই মানিকচকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ঢুকল গঙ্গা নদীর জল।জল যন্ত্রণায় কাবু তিনটি গ্রামের কয়েকশো পরিবার। তবে এখনও প্রশাসন খোঁজ নেয়নি বলে অভিযোগ দুর্গত পরিবারগুলির। যন্ত্রনার জীবন মালদার মানিকচক ব্লকের মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত তিনটি গ্রামের বাসিন্দাদের। নিজেদের মূল্যবান সামগ্রী নিয়ে উঁচু স্থানের ত্রিপল এর নিচে কোনক্রমে আশ্রয় নিচ্ছে পরিবারগুলি। চাইছেন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিক প্রশাসন বা জনপ্রতিনিধিরা।

আরও পড়ুন, Tripura: ত্রিপুরায় রাতভর পুলিশি অভিযান, 'আন্দোলন ঠেকানো যাবে না', কড়া বার্তা কুণালের

মানিকচক গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জোৎপাট্টা, রবি দাস পাড়া,রামনগর এই সমস্ত গ্রাম বর্তমানে জলের তলায়। গঙ্গার জল ঢুকে ভাসিয়ে দিয়েছে রাস্তাঘাট থেকে বাড়ির সর্বত্র।এই অসহায় পরিবারগুলি বাড়িঘর ছেড়ে নিজেদের সন্তান শিশুদের নিয়ে উঁচু স্থানের দিকে ছুটে চলেছে। রাস্তার ওপরে ত্রিপলের নিচেই দিন গুজরান করছেন তাড়া। বাড়ির মূল্যবান সামগ্রী আসবাবপত্র নিয়ে এভাবে জীবনযুদ্ধ চালাচ্ছে কয়েকশো পরিবার। প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে,গঙ্গার বিপদসীমা হল ২৪.৬৯ মিটার এবং চূড়ান্ত বিপদ সীমা হল ২৫.৩০ মিটার। কিন্তু বর্তমানে গঙ্গার জল জলস্তর ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় চূড়ান্ত বিপদসীমা ২৫.৩০ মিটার জলস্তর ছুঁয়ে ফেলেছে গঙ্গা।এই পরিস্থিতিতে লাল সর্তকতা জারি রয়েছে গঙ্গা নদীতে। কিন্তু জলবন্দি পরিবারগুলি চরম দূর্দশার দিন গুজরান করছে।

"

আরও পড়ুন, 'রাজ্যে CAA হলেই NRC-র অর্ধেক কাজ মিটবে', কেন্দ্র ইঙ্গিত না দিলেও দাবি দিলীপের

জল যন্ত্রণায় ভুক্তভোগী বাসিন্দারা জানান, গত কয়েকদিন ধরে গোটা এলাকা গঙ্গার জলে ভাসছে। তবু কেউ ঘুরে তাকাতেও আসেনি এলাকাগুলিতে। পরিবারের সমস্ত সদস্যদের নিয়ে কোথায় যাব কোথায় আশ্রয় নিব তা নিয়েই চরম দুর্দশা জলবন্দি পরিবারগুলির। প্রতিনিয়ত বাড়ছে রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। বহু পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে উঁচু স্থানের ত্রিপল এর নিচে আশ্রয় নিয়েছে। কিন্তু তাদের দাবি ত্রাণ সামগ্রী কিছু এখন না দিলেও অন্ততপক্ষে প্রশাসনের উচিত শৌচাগার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করার।কিন্তু দুর্ভাগ্য কোন কারোরই দেখা নেই।কোনরকম ত্রাণ সামগ্রীও পৌঁছায়নি এলাকায়। ফলে প্রশাসনসহ জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ জল যন্ত্রণায় কাতর পরিবারগুলির। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জলবন্দি পরিবারগুলোর জন্য ত্রাণের ব্যবস্থা করা। উঁচু স্থানে যাতে আশ্রয় নিতে পারে সেই লক্ষ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয়ের ওপর নজরদারি চালানো হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মতই দ্রুত সরকারিভাবে সহযোগিতা পৌঁছানো হবে জলবন্দি পরিবারগুলিকে।

 আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস 

 

Share this article
click me!