বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন স্ত্রী। এমন সন্দেহ থেকেই স্ত্রীর ফোন নিয়ে নিয়েছিলেন স্বামী। সেই অভিমানেই গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হলেন এক গৃহবধূ। এমনই অভিযোগ উঠল উত্তর চব্বিশ পরগণার হাবড়ায়। যদিও মৃত গৃহবধূর বাপের বাড়ির পক্ষ থেকে জামাইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে খবর, বছৎ আটেক আগে দক্ষিণ হাবড়ার শিরিষতলার বাসিন্দা সোনা দাসের সঙ্গে বিয়ে হয় স্বপ্না দাস নামে ওই তরুণীর। তাঁদের একটি সাত বছরের কন্যাসন্তানও রয়েছে। মৃতার স্বামীর অভিযোগ অনুযায়ী, মাস ছ' য়েক আগে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন স্বপ্না। প্রায় সারাদিনই ফোনে কথা বলতেন তিনি। এই নিয়ে আপত্তি জানান তাঁর স্বামী। যা থেকে পারিবারিক অশান্তির সূত্রপাত। যদিও দু' জনেরই পরিবারের তরফে উদ্যোগী হয়ে ঝামেলা মিটিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন- মারমুখী স্বামী, চোখে গরম খুন্তির ছ্যাঁকা স্ত্রীর
অভিযোগ, এর পরেও ফোনে টানা কথা বলা বন্ধ করেননি স্বপ্না। শনিবার মেয়েকে স্কুলে দিতে গিয়েও স্বপ্না এক যুবকের সঙ্গে কথা বলেন বলে এক প্রতিবেশীর মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর স্বামী। এই নিয়ে শনিবার ফের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। রাতে সেই অশান্তি চরম আকার ধারণ করে। তখনই স্বপ্নার ফোন কেড়ে নেন তাঁর স্বামী। বিষয়টি স্বপ্নার বড় দিদি এবং জামাইবাবুকেও জানান তিনি।
স্বপ্নার স্বামীর বয়ান অনুযায়ী, রাতে তাঁরা একসঙ্গেই শুয়েছিলেন। সকালে তিনি ঘুম থেকে উঠে বাথরুমে যান। বাথরুম থেকে ফিরেই দেখেন সিলিং ফ্যান- এর সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলছেন স্বপ্না। পরিবারের তরফে সঙ্গে সঙ্গে হাবড়া থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে হাবড়া হাসপাতালে পাঠায়। সেখানেই ওই গৃহবধূকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে দুই পরিবারেই।
যদিও, গৃহবধূর বাপের বাড়ির তরফেও জামাইয়ের অভিযোগকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নার পরিবারও স্বীকার করেছে, ইদানীং ওই গৃহবধূ অন্য সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন। ময়নাতদন্তের জন্য় গৃহবধূর দেহ হাবড়া হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃতার ভাই মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, 'আমার জামাইবাবু খুবই ভাল। তিনিই আগেই আমাদের সব জানিয়েছিলেন।'