রেড রোডের ভয়াবহ দুর্ঘটনায় কলকাতা পুলিশ কর্মীর মৃত্যুতে শোকের ছায়া । মিনি বাসের নীচে চাপা পড়া বাইক আরোহীকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও বাঁচানো গেল না। জানা গিয়েছে, এদিন তিনি হাওডা়র ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে কাজে যোগ দিতেই রোড দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু শেষ অবধি তাঁর মর্মান্তিক মৃত্যু শোকস্তব্ধ হাওড়া তথা মেদিনীপুরে তাঁর দেশের বাড়ির এলাকা।
আরও পড়ুন, বিধান চন্দ্র রায়ের স্মরণে গানে মেতে উঠল নৌকা, যাত্রীদের মন ভরাল বাংলার বাউল শিল্পীরা
জানা গিয়েছে, হাওড়ার আন্দুল ঝোড়হাটের দক্ষিন কামরাঙ্গুর একটি আবাসনে থাকতেন কলকাতা পুলিশের ওই কর্মী বিবেকানন্দ দাস। 'উৎসব' আবাসনের বি' ব্লকের ছ' তলার ৫ নম্বর ফ্ল্যাট থেকেই সকালে এদিন তিনি বাইক নিয়ে রওনা দিয়েছিলেন কাজের উদ্দেশ্যে। আরও জানা গিয়েছে, পরিবারে তাঁর স্ত্রী ও ৬ বছরের পুত্র সন্তান। আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের জামবনি। কর্মসূত্রে তিনি হাওড়ার এই ফ্ল্যাটে থাকতেন। স্ত্রী পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। তিনিও পুত্র সহ প্রায়শই এই ফ্ল্যাটে আসতেন এবং থাকতেন। প্রতিবেশীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিবেকানন্দ বাবু মেদিনীপুরের বাড়ি থেকে একাই ফিরে ছিলেন হাওড়ার ফ্ল্যাটে। অন্যান্য দিনের মতো তিনি মোটর বাইক নিয়ে বেলায় রওনা দিয়েছিলেন কাজে যোগ দেওয়ার জন্য। আর দুর্ভাগ্যক্রমে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার কবলে তিনি পড়েন। সংবাদ মাধ্যমে প্রচার হওয়ার পর এবং বিভিন্ন সূত্রে এই আবাসনের বাসিন্দাদের কাছে দুর্ঘটনার খবর পৌঁছয়। এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া।
আরও পড়ুন, প্রবল বর্ষণে ভয়াবহ ক্ষতির মুখে চাষের জমি, সরকারের 'কৃষি বীমা'-র আশায় অসহায় কৃষকরা
প্রসঙ্গত, এদিন বাইক আরোহীকে ধাক্কা মেরে ফোর্ট উইলিয়ামের পাঁচিলে ধাক্কা মারে একটি মিনিবাস।ভয়াবহ দুর্ঘটনায় তছনছ হয়ে গিয়েছে মিনিবাসের ভিতরের অংশ এবং সিট। বাসের তলায় বেশ কিছুক্ষণ আটকে থাকেন এক বাইক চালক। পরে ক্রেন দিয়ে মিনিবাসটিকে সরিয়ে নীচ থেকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় ওই ব্যাক্তিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় পুলিশ। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গিয়েও ওই বাইক আরোহীকে শেষ অবধি বাঁচানো যায়নি। মৃত ওই বাইক আরোহীর নাম বিবেকানন্দ দাস। তিনি কলকাতা পুলিশের রিজার্ভ ফোর্সের কর্মী ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনার পর ওই বাইক আরোহীকে উদ্ধারের সময়ই মূলত তাঁর বাইকের গায়ে 'কেপি' লেখা দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের। পরে মৃত ওই ব্যাক্তির পরিচয় নিশ্চিত করেছে পুলিশ।