সংক্ষিপ্ত

  • অবিরাম বৃষ্টিতে সর্বনাশের মুখে কৃষকেরা 
  • 'সরকারি সাহায্য না পেলে না খেয়ে মরতে হবে' 
  •  কবে আসবে রাজ্য সরকারের 'কৃষি বীমা'
  • কৃষকদের  বিশেষ বার্তা ব্লক কৃষি আধিকারিকের


অবিরাম বৃষ্টিতে সর্বনাশের মুখে কৃষকেরা। সহায়তায় জেলা প্রশাসনের 'কৃষি বীমা'-র ঘোষণা। এক টানা বৃষ্টিতে মুর্শিদাবাদের কৃষি প্রধান নবগ্রাম সহ নগরা এলাকার করলা চাষিদের মাথায় হাত। কয়েকদিনের প্রবল বৃষ্টি পাতের কারনে জমিতেই করলা গাছ মরে গিয়ে কৃষকদের সর্বনাশ করেছে । ফলে সরকারি সাহায্য না পেলে ক্ষতিগ্রস্ত করলা চাষিদের না খেয়ে মরতে হবে বলে দাবি উঠেছে । 

আরও পড়ুন, 'সরকারের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রতারকরা', দিলীপের নিশানায় কি প্রতিক্রিয়া সৌগতর

এই ব্যপারে ব্লক কৃষি আধিকারিক বরুণ খাঁ বলেন ,' ওই এলাকায় বেশ কিছু কৃষিজীবী করলা চাষ করেন ।ভারি বৃষ্টিপাতের কারনে করলার জমি নষ্ট হয়ে গিয়েছে । প্রাথমিক ভাবে ওই সব চাষিদের কথা মাথায় রেখে তাদের বিকল্প চাষের সন্ধ্যান দেওয়া হবে । সেক্ষেত্রে তাদের কৃষি সরঞ্জাম কিংবা বীজ ও সার দিয়ে সাহায্য করা যেতে পারে । তবে রাজ্য সরকার দ্রুত এই সব চাষিদের জন্য কৃষি বিমা নিয়ে আসছেন ।' অধিক ফলন ও বাড়তি লাভের আশায় এলাকার করলা চাষিরা জমিতে মাচা করে করলা চাষ করেন । সেক্ষেত্রে বৃষ্টির হাত থেকেও রক্ষা করা যায় করলা গাছ কে ।কিন্তু এই বছর লাগাতার ভারি বৃষ্টির কারনে করলা গাছের পাতা হলুদ হয়ে গিয়ে মারা গিয়েছে । করলা চাষিদের দাবি জমিতে সবে করলার বেশি পরিমানে ফলন আসতে শুরু করেছিল তার মাঝেই বৃষ্টিপাতের কারনে গাছে পচন ধরতে শুরু করে ।

আরও পড়ুন, সত্যজিৎ-র জন্ম শতবার্ষিকীতে 'জলসাঘর' গোখেল কলেজে, মহারাজাকে সেলাম জানাবে অর্পণা-শর্মিলারাও

নগরা এলাকার করলা চাষিদের দাবি এক বিঘা করলা চাষ করতে জমি তৈরি করা থেকে কীটনাশক দিয়ে জমিতে করলা ফলতে প্রায় খরচ পড়ে ২৫ থেকে ৩০ হাজার ।আবহাওয়া ঠিক থাকলে প্রতি বিঘা করলাতে কৃষক লাভ করেন ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা । ওই লাভ তো দুরস্ত করলা চাষ করতে যে খরচ হয়েছে তাই কৃষকের হাতে উঠে আসেনি , আর তাতেই এখন কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে করলা চাষিদের । এই ব্যাপারে এলাকার করলা চাষি জকিমুদ্দিন শেখ , খলিলুর রহমান রা বলেন , এবার কীটনাশক থেকে সারের দাম বেড়ে যাওয়ায় করলা চাষ করতে গিয়ে খরচ বেশি হয়েছে । কিন্তু জমিতে করলা ধরতে শুরু করলেই এই বিপর্যয় নেমে আসে আমাদের মাঝে ।এই ধাক্কা কি করে সামাল দেব তা ভেবে উঠতে পারছিনা । এদিকে জাব্বার শেখ ,নজরুল ইসলামদের দাবি ,  এই পরিস্থিতিতে সরকার সাহায্য না দিলে আমাদের জমি মহাজনদের বন্ধক দেওয়া ছাড়া উপায় নেই ।

 

আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়  

আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে  

আরও পড়ুন, রাজ্য়ের সর্বনিম্ন সংক্রমণ এই জেলায়, বৃষ্টিতে হারাতেই পারেন পুরুলিয়ার পাহাড়ে 

আরও দেখুন, বৃষ্টিতে বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ  

আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা 

আরও পড়ুন, বনগাঁ লোকাল নয়, জাপানে ঠেলা মেরে ট্রেনে তোলে প্রোফেশনাল পুশার, রইল পৃথিবীর আজব কাজের হদিস