চার ছাত্রী পিঠে অশালীন শব্দ লিখে সামিল হয়েছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসবে। আর সেই ছবি ভাইরাল হয়ে যায় নেট দুনিয়া। তারপরই শুরু হয় বিতর্ক। যা গড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ পর্যন্ত। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আপাতত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। পদত্যাগ করছেন না উপাচার্য। কিন্তু রবীন্দ্রনাথের গানে অশালীন শব্দ প্রয়োগ মেনে নিতে পারেনি অনেকেই। বেশ কয়েক জায়গায় প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন সৃজনশীল মানুষ। সেই পথে হেঁটেই রবিঠাকুরের কাছে ক্ষমা চেয়ে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানালেন হাওড়ার উলুবেড়িয়ার মাধবপুরের চেতনা সমিতির চার মহিলা সদস্য। তাঁরা হলুদ কুর্তীর ওপর লিখলেন রবি ঠাকুর ক্ষমা কর। অভিনব এই প্রতিবাদ ইতিমধ্যেই বাহবা কুড়িয়েছে নেট দুনিয়ায়।
সহজে বাহবা পেতে অনেকেই রবীন্দ্রনাথকে আঁকড়ে ধরেন। আর সেই সময় নিজের সৃজনশীলতার নামে রীতিমত শুরু করে দেন রবীন্দ্রনাথের পোস্টমর্টেম। সেই পথে হেঁটেই রবীন্দ্রনাথের গানে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে অশানীল শব্দ। যা এক শ্রেণি মানুষ আঁকড়ে ধরলেও অধিকাংশই বর্জন করেছেন। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন। মাধবপুর পরিবেশ চেনতা সমিতির নেত্রী জয়িতা কুণ্ডু জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে তরুণ তরুণীরা যে কাণ্ড ঘটিয়েছে অত্যন্ত নিন্দনীয়। শিক্ষাঙ্গনে এমন ঘটনা বরদাস্ত করা যায় না। এই ঘটনায় সমাজের কাছে ভুল বার্তা যাচ্ছে বলেও মনে করেন তিনি। তাই তাঁরা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনার প্রতিবাদ জানাতেই রবি ঠাকুরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পথেই হাঁটলেন। স্থানীয় একটি বট গাছকে সাক্ষী রেখেই ক্ষমা চাইলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কাছে।
বিশ্বভারতী ও রবীন্দ্রভারতী- এই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব নিয়ে যথেষ্ট রীতিমত আবেগ তাড়িত বাঙালি। কিন্তু এবার উৎসবের শুরুতেই রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা সামনে আসে। যা রীতিমত ছন্দপতন ঘটায় বসন্ত উৎসবের। একই সঙ্গে চূড়ান্ত হতাশা তৈরি করে সৃজনশীল সাধারণ বাঙালির মধ্যে। অন্যদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ইতিমধ্যেই বাতিল করা হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের বসন্ত উৎসব। বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘ ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন বলেই মনে করছে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।