করোনা আতঙ্কে কাঁপছে বাংলা, এবার বন্ধ হল ভারত-বাংলাদেশ 'জয়েন্ট রিট্রিট'

  • শনিবার থেকে বন্ধ হল  ভারত-বাংলাদেশ জয়েন্ট রিট্রিট
  • করোনা আতঙ্কে বন্ধ করা হল জয়েন্ট রিট্রিট
  • জমায়েত এড়াতেই এই সিদ্ধান্ত বিএসএফ ও বিডিআর-এর
  • অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে যৌথ কুচকাওয়াজ 

Asianet News Bangla | Published : Mar 7, 2020 12:13 PM IST / Updated: Mar 07 2020, 06:04 PM IST

ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ওয়াঘায় যৌথ রিট্রিট দেখতে প্রতিদিনই ভিড় জমান দেশ বিদেশের বহু পর্যটক। সেই একই স্বাদ পাওয়া যায় এরাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার ফুলবাড়ি সীমান্তেও। ফুলবাড়ির ওপারে রয়েছে বাংলাদেশের পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা। সপ্তাহের মঙ্গলবার বাদে প্রতিদিন বিকেল ৫টায় এখানে জয়েন্ট রিট্রিট সেরিমনিতে অংশ নেয় বিএসএফ ও বিজিবি। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে চলে আসছে এই রীতি। তবে এবার বাদ পড়ল এই যৌথ কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে।

আরও পড়ুন: ভালবাসার কাছে হেরে গেল করোনা, আইসোলেশন ওয়ার্ডও বিচ্ছেদ ঘটাতে পারল না বৃদ্ধ দম্পতির

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের আবহেই দুই দেশের মধ্যে এই যৌথ রিট্রিট বন্ধ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের বর্ডার সিকিউটিরিট ফোর্স এবং বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ। শনিবার থেকে জিরো পয়েন্টে  জয়েন্ট রিট্রিটের এই অনুষ্ঠান বাতিল করা হয়েছে। আপাতত অনির্দিষ্ট কালের জন্যই সীমান্তের দরজা সাধারণ মানুষের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে।

 

 

করোনা ভাইরাসে এখনও পর্যন্ত বিশ্বে তিনহাজারেরও বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা লাখের গণ্ডী ছাড়িয়ে গিয়েছে। ভারতেও থাবা বসিয়েছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। দিনে দিনে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। বিশেষজ্ঞরা করোনা রুখতে জমায়েত এড়ানোর কথা বলছেন। আর এই করোনা আতঙ্কের মাঝে এবার হোলির মিলন অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। রাজনৈতিক নেতারা বাতিল করছেন বড় ধরণের সমাবেশ। জমায়েত এড়াতে তাই আগাম সতর্কা হিসাবে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তেও বন্ধ হল যৌথ রিট্রিট। 

আরও পড়ুন: নারী দিবসে মোদীর ক্যাম্পইনে আমন্ত্রণ, প্রস্তাব ফেরাল ভারতের গ্রেটা থুনবার্গ লিসিপ্রিয়া

এদিকে পশ্চিমবঙ্গে এখনও পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান না মিললেও পরিস্থিতি নিয়ে শুক্রবার নবান্নে বিভিন্ন দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যা। ইতিমধ্যে করোনা মোকাবিলায় রাজ্যের তরফে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। খোলা হয়েছে হেল্পলাইন নম্বর ও কলসেন্টার। পাশাপাশি বিমানবন্দর, রেলস্টেশন ও বন্দরে স্ক্রিনিং চলছে। 

Share this article
click me!