বিনয় তামাং ও রোহিত শর্মার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিল শতাধিক কর্মী সমর্থক। দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে তৃণমূলে যোগ দিল একাধিক কর্মী-সমর্থক।
বিনয় তামাং (Binoy Tamang) ও রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) তৃণমূলে (TMC) যোগদানের পর আরও শক্তিশালী হল তৃণমূল কংগ্রেস। পাহাড়ে জমি (hill politics) শক্ত করতে বিনয় তামাং ও রোহিত শর্মার হাত ধরে তৃণমূলে যোগ দিল শতাধিক কর্মী সমর্থক। শুক্রবার শিলিগুড়ির দার্জিলিং জেলা কার্যালয়ে বিনয় তামাং, রোহিত শর্মার নেতৃত্বে দার্জিলিং, কালিম্পং থেকে তৃণমূলে যোগ দিলো একাধিক নেতৃত্ব কর্মী-সমর্থকরা।
এদিন শিলিগুড়ির দলীয় দফতরে সভাপতি পাপিয়া ঘোষ, অলক চক্রবর্তী, গৌতম দেব, শান্তা ছেত্রী, নতুন পাহাড়ি নেতাদের তৃণমূলের পতাকা হাতে তুলে দিয়ে শাসক দলের স্বাগত জানান। পাপিয়া ঘোষ জানান, শুক্রবার রাজ্যের পক্ষ থেকে শিলিগুড়ি পুর নির্বাচনে শহরে ৪৭ ওয়ার্ডে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি আশাপ্রকাশ করেন নির্বাচনের ফলাফল তৃণমূলের পক্ষে যাবে। প্রতিটি ওয়ার্ড দখল করে পুর নিগম নিজেদের দখলে রাখবে ঘাসফুল শিবির।
পাশাপাশি জেলা সভাপতি জানান দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়ে সকল কর্মী ও সমর্থকেরা দলের পাশেই থাকবে। অন্যদিকে ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে স্থানীয় তৃণমূল সমর্থকদের প্রার্থী বদলের দাবি নেতৃত্বকে জানানো হয়েছে। দলই তা বিবেচনা করে দেখবে। দলের সিদ্ধান্তই শেষ কথা বললে জানান পাপিয়া ঘোষ।
এদিকে, ২৪শে ডিসেম্বর তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন পাহাড়ের দুই নেতা। গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা জিটিএ-এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান বিনয় তামাং ও কার্শিয়াংয়ের ১০ বছরের মোর্চা বিধায়ক রোহিত শর্মা । এই দুই নেতার হাত ধরে পাহাড়ে নিজেদের ভিত আরও শক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস বলেই মত রাজনৈতিক মহলের। শুক্রবার ঘাসফুল শিবিরের দুই শীর্ষ নেতা মলয় ঘটক ও ব্রাত্য বসুর হাত থেকে তৃণণূলের পতাকা নেন বিনয় তামাং ও রোহিত শর্মা।
তামাং ও শর্মার দলে যোগদানের ফলে পাহাড়ের রাজনীতিতে নয়া সমীকরণ তৈরি হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আরও শক্তিশালী হবে দল, দাবি করে তৃণমূল। বিমল গুরুঙ্গের প্রত্যাবর্তনের পর পাহাড়ে কিছুটা কোণঠাসা হয়ে পড়েন বিনয় তামাঙ্গ। বিনয়ের যোগদানে পাহাড়ে তৃণমূল আরও বেশি সক্রিয় হবে বলে ধারণা। এর আগে একাধিকবার পাহাড়ে তৃণমূলের সহযোগিতায় গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা কাজ করবে বলে ইঙ্গিত দেন বিনয় তামাং। তৃণমূলের প্রতি নরম সুর নিয়ে কাজ করতেন বিনয়। তিনি জানিয়েছিলেন পাহাড়, ডুয়ার্স, তরাই এলাকায় গোর্খাদের উন্নতিতে কাজ করবেন। রাজ্যের শাসকদল অর্থাৎ তৃণমূলের পাশে থেকেই কাজ করবেন।