শুভজিৎ পুততুণ্ড, বারাসত-করোনা আবহের মধ্যে ফের গৃহস্থ হিংসা। পণের দাবিতে গৃহবধূকে খুন করে পুকুরের মধ্যে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ উছল স্বামী সহ পরিবারের তিন সদস্যের বিরুদ্ধে। শুক্রবার মাঝরাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। মৃতের পরিজনদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন-করোনা আবহে দ্বিতীয়বার, এবার জঙ্গলমহল সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট থানার কোদালিয়া গ্রামে। জানাগেছে, বছর কুড়ির গৃহবধূ সালমা খাতুনের গায়ের রঙ কালো ছিল। চার বছর আগে জয়পুর গ্রামের বাসিন্দা সালমার সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল কোদালিয়া গ্রামের আবদুল সইদের সঙ্গে। তারপর থেকেই স্ত্রীর গায়ের রঙ কালো হওয়ায় বিয়ের পর থেকেই অতিরিক্ত পণের দাবিতে সালমার পরিবার চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এর জেরে দীর্ঘদিন ধরে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালানোর অভিযোগ ওঠে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় সালমাকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। রাতের মধ্যে পচা পুকুরের মধ্যে দেহ রেখে প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করে অভিযুক্তরা।
আরও পড়ুন-'নবগঠিত কমিটিতে বিধায়দের গুরুত্ব নেই', ক্ষোভে দায়িত্ব ছাড়লেন তৃণমূল বিধায়ক
শনিবার সকালে সালমার পরিবারের লোকজন ফোন করলে সুইচট অফ আসছিল। পরিজনরা তাঁর বাড়িতে এসে সালমার খোঁজ করলে না পেয়ে প্রতিবেশীদের জানায়। গ্রামবাসীরা সালমা খোঁজাখুঁজির পর এলাকারই পচা পুকুর থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বসিরহাট থানার পুলিশ। গ্রেফতার হয় স্বামী আবদুল সইদ সহ শাশুড়ি ও শ্বশুর। নিহত সালমার দুবছরের পুত্র সন্তান আছে বলেও জানতে পেরেছে পুলিশ।