স্ত্রী-কে খুন এখন যেন এক নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি বালিতে স্ত্রী- কে খুন করে স্বামী তার লাশ টুকরো করে কেটে ফেলে যাওয়ার ঘটনা কারোরই অজানা নয়। আবারও এমনই এক ঘটনা ঘটলো উত্তর ২৪ পরগণা -র শ্যামনগরে।
সেখানকার নতুন গ্রামের শক্তিনগর এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটেছে ঘটনাটি। দিনের আলোতে বাজারের মধ্যে স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একের পর এক আঘাত করে ওই মহিলার স্বামী। অভিযুক্তর নাম অভিজিত দাস ও আহত মহিলার নাম শম্পা দাস। সূত্রের খবর, বহুদিন ধরেই এই দম্পতির মধ্যে ডিভোর্সের মামলা চলছিল। এই কারণে আলাদাই থাকতেন তারা। বৃহস্পতিবার সকালে বাজারে স্ত্রী শম্পাকে দেখতে পায় অভিযুক্ত অভিজিত দাস। স্ত্রী -কে দেখতে পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অভিজিত একটি ধারলো অস্ত্র নিয়ে ছুটে যায় শম্পার দিকে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শম্পার উপর আঘাত শুরু করেন অভিজিত। এরমধ্যেই সেখানে স্থানীয়রা ভীড় জমান। এমন দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাজারে থাকা লোকজন।
আরও পড়ুুন তান্ত্রিকের কোপে পড়ে মৃত্য়ুশয্য়ায় স্কুলছাত্রী! বাড়ি ভাঙচুর জনতার
এরপর স্থানীয়দের সাহায্যের ফলেই ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় শম্পাকে। গুরুতর জখম অবস্থায় বারাকপুর বিএন বোস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহত শম্পাকে। স্থানীয় মানুষজনকে এগিয়ে আসতে দেখে ঘটনাস্থল থেকে পালানোর চেষ্টা করে অভিজিত। তবে পালাতে অক্ষম হয়নি সে, সেখানে থাকা লোকজন ধরে ফেলে অভিজিত-কে। এরপরেই শুরু হয় গণপিটুনি। স্থানীয় লোকেরাই পুলিশের হাতে তুলে দেয় অভিযুক্ত অভিজিত-কে। আপাতত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শম্পা।
শম্পার মা জানিয়েছেন অভিজিত আগেই তাদের মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার সকালে পড়িয়ে বাড়ি ফিরছিলেন শম্পা। ফলে একাই ছিলেন তিনি। শম্পার মা কে সামনে না পেলেও শম্পাকে ফিরতে দেখে তাঁর ওপরে ঝাপিয়ে পড়ে সে। আচমকাই ঘটে যাওয়া এমন এক ঘটনার জেরে আতঙ্কিত শম্পার পরিবার পরিজনেরা।