তান্ত্রিকের কোপে পড়ে মৃত্য়ুশয্য়ায় স্কুলছাত্রী! বাড়ি ভাঙচুর জনতার

  • তিন বছরের শিশুর পর এবার স্কুলছাত্রী !
  • তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনা ঘিরে উত্তপ্ত গ্রাম
  • শেকড় খেয়ে আশঙ্কাজনক স্কুলছাত্রী
  • ঘটনার পর থেকেই পলাতক তান্ত্রিক

debojyoti AN | Published : Aug 22, 2019 9:44 AM IST / Updated: Aug 22 2019, 03:21 PM IST


আগে প্রাণ গিয়েছিল এক শিশুর। এবার তান্ত্রিকের 'সাধনার' জেরে মৃত্য়ুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে এক উচ্চ মাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে বসিরহাটের কাবিলপুর গ্রামে।

তিনি তন্ত্রসাধানার মাধ্য়মে সবাইকে সুস্থ করে তুলতে পারেন। তাই গ্রামের মানুষ সন্তানের কল্য়াণ কামনায় তাঁরই দ্বারস্থ হতেন। কিন্তু ভুল ভাঙে তিন বছরের এক শিশুর মৃত্য়ুর পর। সেবারও ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয় উত্তেজিত জনতা। এলাকাবাসীর আভিযোগ, গত তিন বছর ধরে তন্ত্র সাধনার নামে এলাকায় বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন আলপনা ঘোষ নামের এক মহিলা। ইতিমধ্য়েই তাঁর তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছে বছর তিনেকের রনি ঘোষ। অভিযোগ, এই শিশুকে সুস্থ করে তোলার নামে রাসাযনিক মেশানো শেকড় বাকড় খাওয়ানো হয়েছিল। কিন্তু সুস্থ হওয়া তো দূর উল্টে আরজিকর হাসপাতালে মারা যায় ওই শিশু। এরপরও এলাকায় তন্ত্র সাধনা বন্ধ করেননি তিনি। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ওই মহিলার তন্ত্রসাধনার পিছনে তাঁর স্বামী নিত্য়ানন্দ ঘোষের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। তাই বহুবার বলা সত্ত্বেও একই কাজ করে চলেছেন তিনি। 

আরও পড়ুন : প্রাণঘাতী হামলার আশঙ্কা,পুরোনো বাড়ি ছাড়লেন দিলীপ ঘোষ

আলপনা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ, উচ্চমাধ্য়মিক পরীক্ষার্থী রিংকির শারীরিক গঠন ভালো করে দেওয়ার নামে তাকে কিছু খেতে দেন তিনি। ওই শেকড় বাকড় খাওয়ার পর থেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ে রিংকি। বর্তমানে সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ডাক্তাররা জানিয়েছে,রিংকির শারীরিক অবস্থা ভালো নয়। এই খবর প্রকাশ্য়ে আসার পর থেকেই ওই মহিলার বাড়িতে চড়াও হয়েছে উত্তেজিত জনতা। দফায় দফায় ভাঙচুর চালানো হয়েছে বাড়িতে। স্বরূপনগরের বাসিন্দারা আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তান্ত্রিকের বাড়িতে।  ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই তান্ত্রিক ও তাঁর স্বামী। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : দিদিকে বলোর পর এবার 'দাদাকে বলো'

প্রতিবেশীদের অভিযোগ, তন্ত্র সাধনায় সিদ্ধিলাভের জন্য় সাতটি প্রাণ নেওয়ার স্বপ্ন পেয়েছেন কাবিলপুর গ্রামের এই তান্ত্রিক। এরপর থেকেই একের পর এক প্রাণঘাতী কাজ করেছেন ওই মহিলা। প্রশ্ন ওঠে, বিজ্ঞান ও প্রয়ুক্তির দিনে এখনও তান্ত্রিকের হাতে কীভাবে ছেলে-মেয়ের স্বাস্থ্য়ের ভার দেন অভিভাবকরা। মেডিক্য়াল সায়েন্সের ওপর ভরসা না করে আজগুবি গালগল্পেই কি ভরসা রাখে আজকের প্রজন্ম। অন্তত কাবিলপুর গ্রামের উদাহরণ সেই দিক নির্দেশ করছে। 
 

Share this article
click me!