বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ এই রাজ্যে সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধেমত সেই অর্থ নিজেদের প্রল্পের জন্য খরচ করছে। এই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একটি তিন পাতার লম্বা চিঠি লিখছেন
বিভিন্ন প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ করা অর্থ এই রাজ্যে সঠিকভাবে খরচ হচ্ছে না। রাজ্য সরকার নিজেদের সুবিধেমত সেই অর্থ নিজেদের প্রল্পের জন্য খরচ করছে। এই অভিযোগ জানিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণকে একটি তিন পাতার লম্বা চিঠি লিখছেন। এই চিঠির প্রতিটি ছত্রেই শুভেন্দু রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ভুলভাবে কেন্দ্রের থেকে আসা অর্থ খরচ করার অভিযোগ তুলেছেন।
শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় অর্থ ভুল ভাবে খরচ করার অভিযোগ তোলার পাশাপাশি গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তেরও দাবি করেছেন। তিনা আরও বলেছেন, যেসব অধিকারীক রাজ্য সরকারের সঙ্গে যুক্ত নয় তাদের দিয়েই এই জাতীয় ঘটনার তদন্ত করানো শ্রেয়।
চিঠিতেই তিনি বলেছেন, তথ্য জানার অধিকারের আইনের ভিত্তিতে তিনি আরটিআই করে রাজ্যের অর্থ দফতরের অ্যাডিশনার চিফ সেক্রেটারি মনোজ পন্থকে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। তবে সেই চিঠির উত্তর নিয়ম অনুযায়ী এক মাসের মধ্যে তার পাওয়ার কথা। কিন্তু তার মধ্যে না পেলে তিনি উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
শুভেন্দু অধিকারী চিঠিতে অভিযোগ করেছেন, স্টেট এমার্জেন্সি রিলিফ ফাণ্ডের বেশ কিছুটা অংশ তুলে নেওয়া হয়েছে। শুভেন্দু যা নিয়ে চিঠিতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তিনি বলেছেন গোটা ঘটনার তদন্ত হওয়া জরুরি। তিনি তাঁর চিঠিতে বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এখবও বেশ কিছু আধিকারিক রয়েছেন যারা নিজেদের পদের মর্যাদা রেখে কাজ করছেন। তাঁদের থেকেই তিনি জানতে পেরেছেন, একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কে পাবলিক ফিনান্স ম্যানেজমেন্ট রিলিফ ফান্ডের জন্য রাজ্যের নোডাল অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে। এই ব্যাঙ্কেই আবার রাজ্যের জরুরি তহবিলের অ্যাকাউন্ট রয়েছে। চিঠিতে শুভেন্দুর অভিযোগ কেন্দ্রের টাকা ঘুরপথে রাজ্যের জন্য উন্নয়ন মূলক প্রকল্প গুলিতে খরচের ব্যবস্থা করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে রাজ্য সরকার। তিনি আরও জানিয়েছেন প্রয়োজনীয় সমস্ত নথি তাঁর কাছে রয়েছে। চাইতে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে তিনি তা দিতে পারেন।
এর আগেই রাজ্য সরকারের অধীনে চলা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেছিলেন এই প্রকল্প রাজ্য সরকারের। কিন্তু এই প্রকল্পের টাকার জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্পের বরাদ্দ টাকা ব্যায় করা হচ্ছে। যা রাজ্য ভুল করেছে বলেও অভিযোগ করেন শুভেন্দু অধিকারী।