কন্যাসন্তান হওয়ায় অকথ্য অত্যাচার, কীটনাশক খাইয়ে গৃহবধূকে খুনের চেষ্টা শ্বশুরবাড়ির

কন্যাসন্তান (Daughter) হওয়ায় গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ। 

Parna Sengupta | Published : Mar 31, 2022 11:09 AM IST

একুশ দশকেও বাড়িতে অবাঞ্ছিত কন্যা সন্তান। আজও বাড়িতে মেয়ে হলে মুখ ভার হয় অনেক পরিবারেই। আজও প্রথমে কন্যা সন্তান হলে দ্বিতীয় পুত্রসন্তান পাওয়ার আশায় সন্তান নিতে চান অনেকেই। এই তালিকা শেষ হওয়ার নয়। শুধু কি তাই, কন্যাসন্তান হওয়ার অপরাধে মা ও সন্তানকে মেরে ফেলার ঘটনা ঘটে আকছার। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। কন্যাসন্তান হওয়ায় গৃহবধূকে কীটনাশক খাইয়ে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ উঠল শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাগর দত্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন গৃহবধূ। 

১২ বছর আগে দমদমের বাসিন্দা রত্না দত্তের সাথে বিয়ে হয়েছিল পানিহাটি নিউ কলোনির বাসিন্দা বাপ্পার। বিয়ে হওয়ার দু'বছর পর তাদের এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়, কন্যা সন্তান জন্ম হওয়ার পর থেকে অত্যাচারের শিকার হতে হয় গৃহবধূ রত্না দত্তকে। স্বামী বাপ্পা দত্তের সেভাবে রোজগার ছিল না, তাই নিয়ে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারের শিকার হতে হত রত্নাকে। অভিযোগ রত্না দত্তকে শ্বশুর বাড়ির লোকজনেরা তার বাড়ি থেকে টাকা পয়সা আনার জন্য চাপ দিত।

আরও পড়ুন, বগুটুইকাণ্ডে এসডিপিও-আইসি চলে গেলেও রাতে কেন দাঁড়িয়েছিলেন নলহাটি থানার ওসি ? তলব সিবিআই-র

আরও পড়ুন, দার্জিলিংয়ে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে নিজে হাতে মোমো বানালেন মমতা ! আনন্দে মাতল শৈল শহর

তাদের দাবি মত কাজ না হলে গৃহবধূর উপর অত্যাচার করত শ্বশুরবাড়ির লোকজন, দীর্ঘদিন ধরে অত্যাচার চলতে চলতে বুধবার সেটা চরম সীমায় পৌছে যায়। বুধবার রত্না দত্তের শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ তাকে বেধড়ক মারধর করে এবং অবশেষে কীটনাশক ফিনাইল জোর করে তাকে খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ গৃহবধূর মা দিপালী কর্মকার ও তার পরিবারের লোকজনের।

এই ঘটনার পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় গৃহবধূ রত্না দত্তকে সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে এবং আহত অত্যাচারিত গৃহবধূ রত্না দত্তের শ্বশুর-শাশুড়ি ও ননদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে খড়দহ থানায়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত দোষীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি খড়দহ থানার পুলিশ। এই ঘটনায় কেন দোষীরা গ্রেফতার হলো না, এই নিয়ে খড়দহ থানার ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন। 

Share this article
click me!