'মাওবাদী' সন্দেহে নদিয়া থেকে গ্রেফতার যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্রী, ময়দানের সূত্রেই পর্দা ফাঁস

মাওবাদী যোগের অভিযোগে নদিয়া থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশের এসটিএফ। জাগুলিয়া মোড়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জয়িতা, সেখান থেকেই ধরা হয় তাঁকে।

Ritam Talukder | Published : Mar 31, 2022 8:15 AM IST / Updated: Mar 31 2022, 02:19 PM IST

মাওবাদী যোগের অভিযোগে নদিয়া থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রীকে গ্রেফতার করল পুলিশের এসটিএফ। জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীর নাম জয়িতা দাস। ধৃতের বিরুদ্ধে মাওবাদী যোগের অভিযোগ উঠেছে। উল্লেখ্য এর আগেও মাওবাদী যোগ সূত্র পেয়ে ২০১৩  চারু মার্কেট থানা থেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়িতা দাসকে গ্রেফতার করেছিল। জানা গিয়েছে, ময়দান থেকে উদ্ধার হওয়া একটি ব্যাগের সূত্র ধরেই জয়িতাকে গ্রেফতার করা হয়।

ময়দান থেকে উদ্ধার হওয়া ব্যাগের সূত্র ধরেই গ্রেফতার যাদবপুরের প্রাক্তন ছাত্রী

পুলিশ সূত্রে খবর, কিছু দিন আগেই ময়দান থানা এলাকায় উদ্ধার হয় একটি ব্যাগ। তাতে বেশ কিছু লিফলেট, ডিভিডি পোস্টার-সহ মাওবাদী বই ছিল। সেই জিনিস গুলির সূত্র ধরে মুর্শিদাবাদের দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের কাছে থেকে অস্ত্র এবং কিছু পোস্টারও উদ্ধার হয়েছিল। পুলিশের দাবি, কলকাতায় পাওয়া ওই পোস্টারের সঙ্গে মিল রয়েছে সেগুলির। পরে জেরার মুখে জানান, এই পোস্টার এবং মাওবাদী বই এসেছে নদিয়ার ছোট জাগুলিয়া থেকে। জয়িতা দাস নদিয়া থেকে তাঁদের ওই বই এবং পোস্টার পাঠিয়েছে। 

মাওবাদীদের মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী ছিলেন জয়িতা

এরপরেই ধৃত যুবকদের পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ শাখা নদিয়ায়  জয়িতা দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকেই গ্রেফতার করা হয় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী জয়িতা দাসকে। পুলিশ জানিয়েছে, মাওবাদীদের মাতঙ্গিনী মহিলা সমিতির নেত্রী ছিলেন জয়িতা। পুলিশ সূত্র খবর, মাওবাদীদের প্রতি সহানুভূতিশীল লোকদের থেকে চাকা জোগাড় করতেন জয়িতা। পুলিশের অনুমান জয়িতার পাশাপাশি আরও দুই এক জন মাওবাদী নেতা সম্প্রতি সক্রিয় হয়েছেন। ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল কোর্টে তোলা হলে আগামী ৭ এপ্রিল পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

জাগুলিয়া মোড়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জয়িতা, সেখান থেকেই ধরা হয় তাঁকে

মূলত জয়িতাকে ধরতে জাল বিছায় পুলিশ। জয়িতার সঙ্গে মাও যোগের একাধিক তথ্য পুলিশে হাতে উঠে আসে। তারা জানতে পারে মাওবাদী সংগঠনের প্রথম সারির নেত্রী জয়িতা। এরপরেই গতিবিধির উপর নজর রাখতে শুরু করে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ। পুলিশের দাবি , ঝাড়খম্ডের নাগরাকাটা মাওবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল জয়িতার।এদিকে ঘটনার দিন দুপুরে নদিয়া জেলার জাগুলিয়া মোড়ে ডাক্তার দেখাতে এসেছিলেন জয়িতা। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেম হাসপাতালে।মাওবাদীদের সঙ্গে যোগাযোগ কীভাবে, কোন কোন শীর্ষনেতাদের সঙ্গে তিনি যুক্ত, আরও কোথায় কোথায় মাওবাদী ঘাটি রয়েছে এগুলি জেরা করে বার করবে পুলিশ। 

Share this article
click me!