আধিকারিকদের একটি দল কৈখালি, দমদম, রাজারহাট ও নারায়ণপুর এলাকায় টহল দেন। একাধিক পুলিশ ভ্যান টহল দিচ্ছে ওই এলাকাগুলিতে।
স্বাধীনতা দিবসের আগে শহরজুড়ে কড়া নিরাপত্তা কলকাতা পুলিশের। সোমবার থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় শুরু হয়েছে সচেতনতা প্রচার ও মাইকিং। কোনওরকম সন্দেহভাজন কিছু দেখলেই পুলিশকে খবর দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সিআইএসএফ আধিকারিকদের পাশাপাশি বিমানবন্দরে নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন বিধানগর সিটি পুলিশের আধিকারিকরা। বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকাতেও টহল দিচ্ছেন তাঁরা। বিমানবন্দরের পাশ্ববর্তী এলাকায় বাজি ফাটানো, ড্রোন ও ফানুস ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
আধিকারিকদের একটি দল কৈখালি, দমদম, রাজারহাট ও নারায়ণপুর এলাকায় টহল দেন। একাধিক পুলিশ ভ্যান টহল দিচ্ছে ওই এলাকাগুলিতে। এ প্রসঙ্গে এক সিআইএসএফ আধিকারিক বলেন, "আমরা বাঁকরা, বিরাটি, শরৎ কলোনি, কৈখালি, জামা মসজিদের কাছে বাবলাতলা, নারকেলবাগান, নারায়ণপুর, সৌরভ গাঙ্গুলির মতো ঘনবসতি পূর্ণ এলাকায় টহলদারি চালাচ্ছি। বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সম্পর্কে এলাকাবাসীদের মাইকিং করে জানানো হয়েছে।" এছাড়া স্থানীয়রা এলাকায় যদি সন্দেহজনক কিছু দেখতে পান তাহলে অবিলম্বে তা পুলিশকে জানাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ড্রোন ওড়ানোর উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের তরফে স্বাধীনতা দিবসের দিন স্থানীয়দের ছাদ থেকে পাখিকে খাওয়াতেও নিষেধ করা হয়েছে। কারণ এর ফলে পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা লাগার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়া বাজি ফাটানোর উপরও জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।
আরও পড়ুন- 'জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তি' তুলে ধরার চেষ্টা, এবারই প্রথম ১৫ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তুলবে সিপিএম
বিমানবন্দর এলাকার একাধিক বাড়িতেও টহল দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকরা। বিশেষ করে ভাড়াবাড়িগুলিতে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ভাড়াটেদের পরিচয়পত্রও যাচাই করা হয়েছে বলে বিধাননগর পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন- অনাস্থা আনার 'শাস্তি', বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণের অভিযোগ তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে
বিমানবন্দর ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত জারি থাকবে কড়া নিরাপত্তা। স্বাধীনতা দিবসের দিন যাতে সেখানে কোনওরকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য এখন থেকেই কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। কয়েকদিন আগেই ড্রোন হামলা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। সেই ঘটনার কথা মাথায় রেখেই বিমানবন্দর এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন এক পুলিশ আধিকারিক।