বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০ টি আসন। যার মধ্যে ১১ টি বিজেপি, ৬ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ৩ টি আসন পেয়েছিল। বেশি আসন পাওয়ায় বোর্ড গঠন করে বিজেপি। যদিও পরে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন।
তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনায় এক বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে। সোমবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতে। এনিয়ে সোমবার রাতে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন নিখোঁজ বিজেপি সদস্যার পরিবার। অভিযোগ পেতেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বালুরঘাট থানার পুলিশ। যদিও অপহরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছে জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দাস।
বালুরঘাট ব্লকের ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ২০ টি আসন। যার মধ্যে ১১ টি বিজেপি, ৬ তৃণমূল ও বামফ্রন্ট ৩ টি আসন পেয়েছিল। বেশি আসন পাওয়ায় বোর্ড গঠন করে বিজেপি। যদিও পরে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূলে যোগ দেন। এর ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে হয় ৭। অন্য দিকে বিজেপির সদস্য সংখ্যা কমে দাঁড়ায় ১০। এরপরই এই গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিজেপি। ১৩ অগাস্ট অনাস্থা প্রস্তাব অনুষ্ঠিত হবে। অভিযোগ, অনাস্থার আগে ৫ অগাস্ট ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা দিপালী মার্ডিকে (হলদিডাঙা সংসদ) অপহরণ করে পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর স্বামীকেও অপহরণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
কয়েক দিন ধরেই দিপালী মার্ডি ও তাঁর স্বামী লুকাশ টুডুকে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে মেয়ে ও জামাইয়ের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেন দিপালীর মা মারিয়াম হাঁসদা। তবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মল্লিকা কর্মকার সূত্রধরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন মারিয়াম। তাঁর কাছে মেয়ের খোঁজ করেন তিনি। তখন তিনি জানান দিপালী তাঁর কাছেই আছে। চিন্তার কোনও কারণ নেই। এদিকে মেয়ের খোঁজ পেতে একাধিকবার পঞ্চায়েত প্রধানকে এলাকায় হন্যে হয়ে খুঁজেই চলেছে দিপালীর পরিবার। অবশেষে মেয়ে-জামাইয়ের খোঁজ পেতে সোমবার রাতে বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
আরও পড়ুন- 'জাতীয়তাবাদী ভাবমূর্তি' তুলে ধরার চেষ্টা, এবারই প্রথম ১৫ অগাস্ট জাতীয় পতাকা তুলবে সিপিএম
এনিয়ে দিপালীর মা মারিয়াম হাঁসদা জানান, ৫ অগাস্ট থেকে তাঁর মেয়ে ও জামাই নিখোঁজ। এরপর খোঁজ না পেয়ে সোমবার বালুরঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন মারিয়াম। তাঁর অভিযোগ, পঞ্চায়েত প্রধানই তাঁর মেয়ে ও জামাইকে আটকে রেখেছেন।
আরও পড়ুন- পুলিশের চোখের আড়ালে রমরমিয়ে চলছিল ভুয়ো আধার কার্ড চক্র, গ্রেফতার ৩
এবিষয়ে ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির উপপ্রধান সুভাষ সরকার বলেন, "যেহেতু তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন সেই জায়গা থেকে নিজেদের সংখ্যা বাড়াতে তাদের সদস্যদের আটকে রাখার বা অপহরণ করা হচ্ছে। যাতে তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা পাশ না হয়। তবে এমন করে অনাস্থা আটকানো সম্ভব নয়।"
আরও পড়ুন- কাটমানি চেয়েছেন বিডিও, কন্ট্রাক্টরদের অভিযোগে উত্তাল বালুরঘাট
অন্যদিকে এবিষয়ে জেলা তৃণমূলের সভাপতি গৌতম দাস বলেন, "এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। তৃণমূলের এমন দূর দিন জেলায় আসেনি। তবে কেউ স্বেচ্ছায় তৃণমূলে আসতে চাইলে তা আমরা ভেবে দেখবেন। আর যদি কেউ স্বেচ্ছায় কারও বাড়িতে যায় এবং সেখানে থাকে তা নিয়ে তৃণমূল দায়ি নয়। বিষয়টি নিয়ে শুধু শুধু রাজনৈতিক রং লাগানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।"