কেউ বা জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার জন্য, কেউ আবার খুনের দায়ে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত হয়ে বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের আসামী। মাঝেমধ্যে বাড়ি থেকে আত্মীয় পরিজনরা দেখা করতে আসেন ঠিকই। কিন্তু সমাজের কাছে তারা প্রত্যেকেই দাগী অপরাধী।
নিজেদের এই দুর্নাম ঘোচাতে পড়াশোনাকেই হাতিয়ার করে নিয়েছে মহম্মদ মোস্তাক, সুমন বাগচীরা। জেল কর্তৃপক্ষের সাহায্যে এবার বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দি চার সাজাপ্রাপ্ত বন্দি। ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে পরীক্ষা। দিনরাত এক করে পড়াশোনা করে তাই ভাল ফল করতে মরিয়া চার বন্দিই।
জঙ্গিপুর মহকুমার রঘুনাথগঞ্জ থানার বাসিন্দা মহম্মদ মোস্তাক ও হাসানুজ্জামান উভয়েই জঙ্গি কার্যকলাপে যুক্ত থাকার অপরাধে দীর্ঘ প্রায় এক দশক ধরে বন্দি হয়ে সাজা খাটছে । দু' জনের মধ্যে মোস্তাক ইংরেজিতে অনার্স ও হাসানুজ্জামান সমাজবিদ্যা নিয়ে অনার্স পরীক্ষা দিচ্ছে। পাশাপাশি আরও দুই সাজাপ্রাপ্ত বন্দি সাগরদিঘির সুমন বাগচী ও রানিনগরের সাইন সেখ ইতিহাসে অনার্স নিয়ে পরীক্ষা দিচ্ছে।
বহরমপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারের সুপার টি আর ভুটিয়া বলেন,'সবদিক খতিয়ে দেখে জেলের ভিতরেই ওই চারজনকে একটি পৃথক হলঘরে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এই চারজন আবাসিক কর্তৃপক্ষের কাছে পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন করেছিল। সেই মতো ইন্দিরা গান্ধী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় তাদের পরীক্ষা দেওয়ার আবেদন মঞ্জুর করায় তারা এবার পরীক্ষায় বসতে পেরেছে।'
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রাক্তন এক অধ্যাপিকার বিশেষ তত্ত্বাবধানে সংশোধনাগারের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। চার দেওয়ালের মধ্যে বন্দি জীবন থেকে আলোয় ফেরার জন্য মোস্তাক, সুমনদের হাতিয়ার এখন পড়াশোনাই।